বগুড়ার সুকান্তপুর সৈয়দ আহম্মেদ ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী নাজনীন আক্তারকে (১৯) বরিশালে এনে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। ঘাতক স্বামীসহ ৪ জনের নামোল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৬ জনকে আসামি করে গত শুক্রবার রাতে মামলা দায়ের করেন নিহতের বাবা বগুড়া সদরের উত্তরপাড়া গ্রামের মো. আব্দুল লতিফ প্রামানিক।
মামলার আসামিরা হলেন ঘাতক স্বামী বগুড়া জাহাঙ্গীরাবাদ সেনানিবাসের পরিচ্ছন্নতা কর্মী সাকিব হোসেন, তার বাবা আব্দুল করিম হাওলাদার, মা বীথি বেগম, ননদ শান্তনা বেগম ওরফে রাশিদা বেগম। এদিকে পুলিশের হাতে গ্রেফতারকৃত প্রধান আসামি ঘাতক স্বামী সাকিব হোসেন বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নাজনীনকে হত্যার লোমহর্ষক বর্ননা দিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও বগুড়া সদর থানার উপ-পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা জানান, গত বৃহস্পতিবার বরিশাল মর্গে লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়। শুক্রবার পারিবারিক গোরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়। প্রধান আসামি সাকিব গ্রেফতার হলেও তার বাবা করিম হাওলাদার, মা বীথি বেগম ও বোন রাশিদা বেগম পলাতক রয়েছে। ঘাতক সাকিব গত শুক্রবার বগুড়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মমিন হাসানের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।
সাকিব হোসেন হাওলাদার গত ২৪ মে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার হরহর গ্রামে তার বাবার ভাড়া বাসায় নিয়ে নববিবাহিত স্ত্রী নাজনীনকে শ্বাসরোধ করে ধান ক্ষেতে বস্তাবন্দি লাশ ফেলে দেয়। গত বুধবার সকাল ১০টার দিকে হরহর গ্রামে সাকিবের বাবার ভাড়া বাসা সংলগ্ন ধান ক্ষেত থেকে নাজনীনের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে।
উল্লেখ্য, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয়ের সূত্র ধরে গত বছর ৩০ সেপ্টেম্বর বগুড়া সদর উপজেলার সাবগ্রাম এলাকার আব্দুল লতিফ প্রমানিকের মেয়ে দ্বাদশ শ্রেণী ছাত্রী নাজনীনকে মিথ্যা ঠিকানা দিয়ে বিয়ে করে সাকিব।
বিডি প্রতিদিনি/হিমেল