২০ জুন, ২০২১ ১৭:২১

রমেকে ৪ হাত-পা বিশিষ্ট নবজাতক, ঋণের বোঝা নিয়ে বাড়ি ফিরলেন বাবা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর:

রমেকে ৪ হাত-পা বিশিষ্ট নবজাতক, ঋণের বোঝা নিয়ে বাড়ি ফিরলেন বাবা

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে ৪ হাত-পা নিয়ে জন্ম নেয়া নবজাতক ১৭  দিন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার পর শূন্য হাতে বাড়ি ফিরেছে। তার অপারেশনের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। নবজাতকের পিতার অভিযোগ হাসপাতালে কোন চিকিৎসা নেই। তাই নিজ দায়িত্বে  ছেলেকে বাড়িতে নিয়ে গেছেন। রবিবার সকালে তারা দিনাজপুরের কাহারোলে চলে যান। তবে যাওয়ার সময় ঋণের বোঝা ও বুকভরা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন তারা। 

নবজাতকটির দিনমুজুর বাবা বলেন, ছেলের চিকিৎসা করাতে গিয়ে বাড়ির ৩টি ছাগল বিক্রি করেছি। এছাড়া একজনের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছি।  সন্তানকে নিয়ে যখন রংপুর মেডিকেলে আসি তখন শ্বশুরে কাছ থেকে এবং জমানো ২৫ হাজার টাকা নিয়ে আসি। সব টাকা চিকিৎসায় শেষ হয়েছে। তবে ডাক্তাররা সঠিকভাবে ছেলেকে দেখেন নাই। চিকিৎসাও ঠিকমত হয়নাই। তিনি বলেন, ডাক্তার বলেছেন দুই মাস পরে যোগাযোগ করতে। দুই মাস পরে কি হবে জানি না। যদি অপারেশন করতে হয় তাহলে টাকা পাব কোথায়। 

অদ্ভুত এই ছেলেকে নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তার বাবা-মা। গত ৪ জুন বীরগঞ্জ পৌরশহরের খানসমা রোডস্থ বীরগঞ্জ ক্লিনিকে ৪ হাত-পা বিশিষ্ট এক পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। ওই দিন রাতেই নবজাতককে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৫’ম তলার শিশু সার্জরি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। বেশকিছু পরীক্ষা দেয়া হয়। কিন্তু শিশুটির কোন উন্নতি না হওয়ায় রবিবার সকালে কহারোলে নিয়ে যায়। 

শিশু সার্জারি ওয়ার্ডের প্রধান ডা.বাবলু কুমার সাহা বলেন, নবজাতকের এই অঙ্গগুলোকে পরগাছা জাতীয় অঙ্গ বলে। অপারেশনের মাধ্যমে এগুলো অপসারণ করা সম্ভব। তবে এই ক্ষেত্রে পরীক্ষা নিরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। 

এদিকে নবজতকের দিন মজুর বাবা সন্তানের চিকিৎসার সাহার্যের জন্য সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা কামানা করেছেন।  


বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর