গাজীপুরের শ্রীপুরে বাবার অগোচরে তার বাড়ি থেকে ছয় মাস বয়সী শিশু সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে যায় তার মা। পরে ৫ লাখ টাকায় নরসিংদীর পলাশ উপজেলার কাজিরচর গ্রামের নুরুজ্জামানের কাছে বিক্রি করে দেন শিশুকে।
কিন্তু শিশুটির বাবা দুই মাস খুঁজেও সন্তানকে না পেয়ে মামলা করেন শ্রীপুর থানায়। রবিবার নরসিংদী থেকে শিশুকে উদ্ধার করে বাবার কোলে ফিরিয়ে দেয় পুলিশ। এ ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় শিশুটির মাকেও।
অভিযুক্তরা হলেন-শিশুটির মা শামীমা আক্তার (২৪), শামীমা আক্তারের মা ফজিলা বিবি (৪৫) ও নরসিংদীর পলাশ উপজেলার কাজীরচর গ্রামের ইয়াকুব মিয়ার ছেলে নুরুজ্জামান (৪৫)।
শিশুটির বাবা জাহিদুল ইসলাম গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার কর্নপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। এ ঘটনায় শ্রীপুর থানায় গত শুক্রবার মামলা দায়ের করা হয়।
শিশুর বাবার ভাষ্য, শামীমার সাথে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হলে তারা ২০১৯ সালে বিয়ে করেন। বিয়ের পর গত বছরের ডিসেম্বরে তার মেয়ের জন্ম হয়। শিশু জন্মের পর তার বয়স যখন ৬ মাস, তখন তিনি শিশু ও তার মাকে বাড়িতে রেখে চাকরির জন্য নরসিংদীতে যান। কিন্তু গত ১২ জুন শিশুকে নিয়ে তার মা বাড়ি থেকে চলে যান।
পরে জাহিদুল ইসলাম বাড়িতে এসে শিশু ও তার মাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। দুমাস তাদের সন্ধান শেষে না পেয়ে তিনি গাজীপুর আদালতে অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় আদালত শ্রীপুর থানাকে মামলা গ্রহণ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। তাদের প্রেমের সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি তার শ্বশুর-শাশুড়ি। তার অনুপস্থিতিতে সম্পর্ক ভাঙতেই তারা শিশুটিকে বিক্রি করার পরিকল্পনা করেন। তাদের পরিকল্পনা মতোই ৫ লাখ টাকায় তার মেয়েকে বিক্রি করে দেন বলে অভিযোগ করেন শিশুটির বাবা।
শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অংকুর কুমার ভট্টাচার্য বলেন, শিশুটির বাবার অভিযোগ আমলে নিয়ে আদালতের নির্দেশে গত শুক্রবার শ্রীপুর থানায় মামলা রুজু হয়। পরে তার বাবাকে সাথে নিয়ে রবিবার রাতে নরসিংদী এলাকায় অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় শিশুর মা ও নুরুজ্জামানকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/এমআই