২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৯:১৮

দুস্থদের মাঝে আওয়ামী লীগের ত্রাণ কমিটির রিকশা-ভ্যান বিতরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

দুস্থদের মাঝে আওয়ামী লীগের ত্রাণ কমিটির রিকশা-ভ্যান বিতরণ

কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষে দুস্থদের মাঝে রিকশা-ভ্যান বিতরণ করেছে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটি। আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে আজ ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে 'মানবতার আলোকবর্তিকা শেখ হাসিনা' শীর্ষক আলোচনা সভা শেষে দুঃস্থদের মাঝে এসব রিকশা-ভ্যান বিতরণ করা হয়। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজসহ অনেকেই। 

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান। অনুষ্ঠান শেষে ঢাকা বিভিন্ন এলাকা এবং দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলা, জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলা, সাতক্ষীরা আশাশুনি উপজেলা, বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা ও গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার প্রায় শতাধিক অসহায় ও দুস্থ মানুষের মাঝে রিকশা-ভ্যান বিতরণ করা হয়। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির সিরিজ বৈঠককে ‘ষড়যন্ত্র বৈঠক’ অভিহিত করে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, জ্বালাও-পোড়াও করার ইচ্ছা মনে হয় আপনাদের আছে। আবার যদি কোনো সহিংসতার রাস্তা নেন, দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন, শেখ হাসিনার অর্জনকে খাটো করতে চান তাহলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে। 

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, ৭৫ পরবর্তী সময়ে সৎগুণ ও বিবেকের কথা বলে উল্টো দিকে অবস্থান করে এই দেশকে রসাতলে নিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান এবং ৭৫ পরবর্তী সময়ের শাসকগোষ্ঠীরা। জামায়াতি ইসলামের নেতা গোলাম আজম বলেছিলেন নারী নেতৃত্ব হারাম। কিন্তু তিনি যখন খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করতে গেলেন- তখন আরাম আরাম আর আরাম। তারা শুধু দ্বিচারিতা নয়, সুনির্দিষ্ট ভ্রষ্টাচার ও তাদের পাপ, অন্যায়, মিথ্যাচার। আওয়ামী লীগ ছাড়া যারাই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসেছে, তারাই এই ধরনের কার্যক্রমে করে গেছেন। 

বেগম মতিয়া চৌধুরী আরও বলেন, কোথায় নেই শেখ হাসিনা। ৮১ সালে শেখ হাসিনা দেশে আশার পড়ে তার পথচলা সহজ ছিল না। বাঁকে বাঁকে হিংসা, হত্যা, গুম, খুন সবকিছু উপেক্ষা করে জীবনের মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। 

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, পেছন দরজা দিয়ে যারা ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখছে, তাদের সেই স্বপ্ন দিবাস্বপ্নে পরিণত হবে। শুধু চারবার নয়, তিনবার নয় যতদিন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বেঁচে আছেন, ততদিনই বাংলার মানুষ ম্যান্ডেট দিয়ে তাকে প্রধানমন্ত্রী করবে। 

ক্ষমতাসীন সরকারের নানামুখী উন্নয়ন অগ্রগতি অর্জনের প্রসঙ্গ তুলে আব্দুর রহমান বলেন, “গ্রামকে গ্রাম অন্ধকারে ঢাকা ছিল। আজকে সেই গ্রাম আলোয় আলোকিত। আমার মনে আছে, বেগম মতিয়া চৌধুরী একদিন সংসদে বলেছিলেন এমন একদিন আসবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের এই বিদ্যুৎ ফেরি করে বিক্রি করতে হবে। ‘বিদ্যুৎ নেবেন ভাই, বিদ্যুৎ নেবেন’ সেই অবস্থা একদিন আসবে। আজকে প্রকৃত অর্থে কিন্তু তাই এসেছে। সমস্ত জায়গায় বিদ্যুৎ পৌঁছেছে।

দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন-অগ্রগতি বিএনপি সহ্য করতে পারে না। এজন্য এতো উন্নয়ন-অগ্রগতি প্রশ্নবিদ্ধ করতে তারা নানা ধরনের মিথ্যাচার করে, মিথ্যা তথ্য দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করতে চেষ্টা করছে। এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর