বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের নতুন মহাপরিচালক হয়েছেন ড. মো. খলিলুর রহমান। এর আগে, তিনি একই ইনস্টিটিউটের পরিচালক (গবেষণা ও পরিকল্পনা) ছিলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এর আগে, তিনি ময়মনসিংহস্থ স্বাদুপানি কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং স্বাদুপানি উপকেন্দ্র, যশোর এর উপকেন্দ্র প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি অ্যাকুয়া ড্রাগস ও হালদা নদী উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।
ড. রহমান বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাৎস্যবিজ্ঞানে যথাক্রমে ১৯৮৪ সালে স্নাতক ও ১৯৮৫ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। পরবতীতে ১৯৯৪ সালে ফেলোশিপ নিয়ে ইংল্যান্ডের হাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০০২ সালে বিশ্বব্যাংক স্কলারশীপ নিয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
ড. মো. খলিলুর রহমানের গবেষণার মাধ্যমে দেশে প্রথমবারের মতো পাঙ্গাস মাছের কৃত্রিম প্রজনন ও চাষাবাদ কৌশল উদ্ভাবন করেন এবং অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ১৯৯৫ সালে রাষ্ট্রপতি পদক লাভ করেন। বর্তমানে পাঙ্গাস চাষ তৃণমূল মৎস্য চাষীদের কাছে অতি জনপ্রিয় লাভজনক প্রযুক্তির পাশাপাশি প্রাণিজ আমিষের অন্যতম উৎস হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
তার দেশি-বিদেশী জার্নালে প্রকাশিত আর্টিকেলের সংখ্যা ৭৪টি। তিনি "Ecology and Management of Inland Water and Fishery Resources of Bangladesh"-শীর্ষক একটি বই রচনা করেন। বইটি দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গুরুত্বপূর্ণ পাঠ্য ও রেফারেন্স বই হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
তিনি দেশের মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে নিজের অভিজ্ঞতা ও জ্ঞানের পরিধি আরও সমৃদ্ধ করতে বিভিন্ন সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য ভারত, মালদ্বীপ, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ফ্রান্স, ইতালি, জার্মানি ও ইংল্যান্ড ভ্রমণ করেন।
ড. রহমান ২২ অক্টোবর ১৯৬৩ সালে কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার স্ত্রী ড. জুবাইদা নাসরীন আখ্তার বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
উল্লেখ্য, ড. মো. খলিলুর রহমান ১৯৮৭ সালে বিএফআরআই-এর চাঁদপুরস্থ নদী কেন্দ্রে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন।
বিডি-প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ আল সিফাত