রংপুরের কাউনিয়া রেলস্টেশনে প্রধান বুকিং ম্যানেজার মিশুক আল মামুন বিভিন্ন রুটের ১৪টি ট্রেনের টিকিট বিক্রির ৩৪ লাখ টাকা রেলওয়ে কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাত করেছেন। বিষয়টি রেলের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে এলে বুকিং ম্যানেজার মিশুক আল মামুনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া দায়িত্বে অবহেলার দায়ে কাউনিয়া স্টেশন মাস্টার বাবু আল রশিদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এই অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়টি তদন্তের জন্য আদালতে দুদককে দায়িত্ব দেয়ার আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন রেলের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, কাউনিয়া রেলওয়ে স্টেশনে গত ৬ মাসে টিকিট বিক্রির কোনো টাকা রেলের কোষাগারে জমা হয়নি। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ৪ অক্টোবর কাউনিয়া রেলওয়ের প্রধান টিকিট বুকিং ম্যানেজার মিশুক আল মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর নিশ্চিত হন টিকিট বিক্রির টাকা আত্মসাত করা হয়েছে। এ ঘটনায় লালমনিরহাট রেলওয়ের জুনিয়র ট্রাফিক ইন্সপেক্টর ছহির উদ্দিন বাদী হয়ে লালমনিরহাট জিআরপি থানায় ওইদিনই কাউনিয়ার প্রধান টিকিট বুকিং ম্যানেজার মিশুক আল মামুনকে গ্রেফতার করে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
রেলের লালমনিরহাট ডিভিশনাল ম্যানেজার শাহ সুফি নুর মোহাম্মদ জানান, ৫ অক্টোবর প্রধান টিকিট বুকিং ম্যানেজারকে গ্রেফতার দেখিয়ে রংপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হলে শুনানি শেষে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। স্টেশন মাস্টারের উদাসীনতা ও নজরদারির অভাবে প্রধান টিকিট বুকিং ম্যানেজার মিশুক আল মামুন রেলের টাকা আত্মসাত করেছেন। দায়িত্বে গাফলতির জন্য কাউনিয়া স্টেশন মাস্টার বাবু আল রশিদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বিষয়টির তদন্তভার দুদককে দেয়া হয় এ জন্য আদালতে আবেদন করার প্রস্তুতি চলছে।
রংপুর দুদকের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, রেলের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি মোবাইল ফোনে অবগত করিয়েছেন। তদন্তের জন্য আদালতের কোন নির্দেশ এখনো পাওয়া যায়নি। আদালত যদি মনে করেন বিষয়টি দুদক তদন্ত করবে তাহলেই আমরা তদন্ত করতে পারি।
এ ব্যাপারে পশ্চিমাঞ্চলীয় রেলের চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার আহসান উল্লাহ ভূইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমরা রেলের দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। অপরাধ করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল