নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, কঠিন সময়ে মাঠে থেকে অভ্যস্তরা হার না মানা জাতের হয়। আমরা মাঠে রোদ, বৃষ্টি, ঝড় ও তুফান পথ অতিক্রম করে এ পর্যন্ত এসেছি। রাজপথে কঠিনতম সময়ে দুর্বার গতি নিয়ে এগিয়ে গিয়েছি। মূলত রাজপথ থেকে যারা সৃষ্টি হয়েছে তারা আমার বিপক্ষের হলেও আমি তাদের পছন্দ করি। আমাদের সবাইকে এক হওয়ার সময় এসেছে। অন্তত যারা হাইব্রিড না মোস্তাকের বংশধর না। মুখে মুখে অনেক কথা বলা যাবে। জয় বাংলা বলে জীবন দিয়েই দেয়া যাবে। কিন্তু সময়মতো রাস্তায় নামবে কিনা সেটা দেখার বিষয় আছে। সময় বলে দেবে কারা বুক পেতে দেবে আর কারা সুবিধা ভোগ করে পিঠ দেখিয়ে লুকিয়ে পড়বে।
শনিবার বিকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে জেলা পরিষদ আয়োজনে স্বাধীণতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হয়ে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শামীম বেপারী প্রমুখ।
শামীম ওসমান আরও বলেন, রাজাকারদের নারায়ণগঞ্জের মাটিতে ঠাঁই নাই এ ঘোষণা দিয়েছিলাম। জামায়াত শিবির স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে সবার আগে নারায়ণগঞ্জ থেকে ডাক দিয়েছিলাম। এরপরেই ২০০১ সালের ১৬ জুন আমাকে হত্যা করার জন্য বোমা হামলা করে ২০ জন মানুষকে হত্যা করা হলো। আমার বন্ধু চন্দন শীল ও রতন দাস দুই পা হারিয়ে আজ পঙ্গু। আমিসহ অনেকে বোমার স্পিলিন্টারে ক্ষতবিক্ষত হলাম। হাসপাতালে যখন জ্ঞান ফিরলো তখন বলেছিলাম ‘শেখ হাসিনাকে বাঁচান’। কারণ শেখ হাসিনা শুধু আওয়ামী লীগের সম্পদ না, দেশবাসীর সম্পদ।
তিনি বলেন, এই বোমা হামলার পর বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া মন্তব্য করলেন, জাতির জনকের পরিবারের নিরাপত্তা আইন পাশ করার জন্য এই বোমা হামলা করানো হয়েছে। ১৯৮১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত এই হাত দিয়ে ৪৯ জন নেতা-কর্মীকে দাফন করেছি। মনির নামে এক কর্মীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। মনিরের লাশ নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে নেয়ার সময় আবারও গুলি করা হলো। লাশের ভেতর থেকে ৭০টি গুলি বের করা হয়েছিলো। এ দৃশ্য দেখেছি।
তিনি একজন নারী জনপ্রতিনিধিকে ইঙ্গিত করে বলেন, আজকাল দেখি এমন সব লোক দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলেন। কোটি কোটি টাকার সম্পদ আছে কিন্তু ইনকাম ট্যাক্স ফাইলে ১০ লাখ টাকাও নাই।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল