চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোর আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনো পুরোপুরি নেভেনি। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা টানা ৪৮ ঘণ্টা ধরে আগুন নেভাতে নিরলস চেষ্টা করে যাচ্ছেন। সোমবার রাতে সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, চট্টগ্রাম বিভাগীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মবিলাইজিং অফিসার কফিল উদ্দিন।
এদিকে, এ ঘটনায় প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা ও স্মরণ করেছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। সোমবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রদীপ প্রজ্বলন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন সংগঠনটি। একইসঙ্গে সীতাকুণ্ডে নিহত ও আহতদের পরিবারকে পুনর্বাসনের জন্য সরকার ও সমাজের বিত্তশালীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এসময় বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ও কবিতা পরিষদের সহ-সভাপতি কবি অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস, আবৃত্তি শিল্পী মীর বরকত, পথ নাটক সমিতির মিজানুর, সাধারণ সম্পাদক আহমেদ গিয়াস, গণসংগীত পরিষদের সভাপতি কাজী মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইট, গ্রুপ থিয়েটারের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক চন্দন রেজা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণে হতাহতের তথ্য সংশোধন করেছে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। প্রশাসন বলছে, সীতাকুণ্ডে নিহতের প্রকৃত সংখ্যা এখন ৪১, আগের তথ্য ভুল ছিল।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান সোমবার দুপুরে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘কিছু মরদেহ চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়েছিল। সেখানে একবার গণনা করা হয়। আবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও সেগুলো গণনা করা হয়। যে কারণে সংখ্যা বেড়ে ৪৯ হয়ে গিয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘পরে সব মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ৪১ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে। তাই মৃতের প্রকৃত সংখ্যা ৪১। এরপর আর কোনো মরদেহ উদ্ধার হলে তা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে রাখা হবে।’
বিডি-প্রতিদিন/শফিক