কুমিল্লা নগরীর জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধানে কান্দিখাল উদ্ধারে কাজ শুরু করেছে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক)।
রবিবার অভিযান শুরু করে কুসিক। নগরবাসী বলছেন, এ খাল যেন পুনর্দখল না হয়। অপরদিকে, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জানিয়েছেন এ অভিযান চলমান থাকবে।
কুসিক সূত্রমতে, ৪০ দখলদারের মধ্যে সরকারি চার প্রতিষ্ঠান কান্দিখাল দখল করেছে। গত বছর সাবেক মেয়র কান্দিখাল দখলকারী চার সরকারি প্রতিষ্ঠান, ৩৬ জন ব্যক্তি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নাম, ঠিকানা দখলি জমির পরিমাণ, স্থাপনার বিতরণ, আরএস, বিএস ও খতিয়ান নম্বর প্রকাশ করেন।
কুসিক সূত্র আরো জানায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওয়াল রয়েছে প্রায় দুই শতক জমির ওপর। সড়ক অফিসের বাউন্ডারি, শাকতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথমতলা পাকা ভবন ১.৩২ শতক জমি দখল করার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও আরও ৩৬ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান এ দখলের তালিকায় রয়েছে।
সচেতন নাগরিক কমিটি কুমিল্লার সাবেক সভাপতি বদরুল হুদা জেনু বলেন, দখল উচ্ছেদকে স্বাগত জানাই। একই সাথে পুনর্দখল আর না হয় সে জন্য স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। দখলকারীরা রাজনৈতিক ভাবে দখল করে থাকেন। সে জন্য মজবুত রিটানিং ওয়াল তৈরি করা দরকার।
এ বিষয়ে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. সফিকুল ইসলাম জানান, এ তালিকা গত বছর তৈরি করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধিসহ সরকারি চার প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা অবৈধ স্থাপনার তালিকা তৈরি করেন। একই সাথে গত বছর তাদের নোটিশ করা হয়েছিল। আজ থেকে অবৈধ স্থাপনার বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। এ অভিযান জনস্বার্থে চলমান থাকবে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন