খুলনায় ধর্ষণ মামলায় আসামি রফিকুল ইসলাম ঢালীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সাথে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। এ ছাড়া ধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া সন্তানকে তাকেই পিতৃ পরিচয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেয় আদালত।
রায় ঘোষণার সময় আসামি রফিকুল ইসলাম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আজ বৃহস্পতিবার খুলনা নারী ও নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক আ. সালাম খান এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ফরিদ আহমেদ।
জানা যায়, আসামি রফিকুল ইসলাম ও ভিকটিম নগরীর ছোট বয়রা গোলদারপাড়া এলাকার বাসিন্দা ও প্রতিবেশী। ধর্ষণের শিকার হওয়া ওই নারীকে আসামি বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ২০০৯ সালের ২৬ আগস্ট থেকে একই বছরের ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত একাধিকবার ধর্ষণ করে। ভিকটিম অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে আসামিকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়।
কিন্তু ভিকটিমকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিতে থাকে আসামি। পরবর্তীতে রফিকুল ইসলাম ঢালীকে আসামি করে সোনাডাঙ্গা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন ভিকটিম। সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশে উপ-পরিদর্শক মুনসুর শফিকুল ইসলাম ২০১০ সালের ২৬ জানুয়ারি রফিকুলকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদ আহমেদ বলেন, ২০০৯ সালে ধর্ষণের ঘটনায় যে সন্তান জন্ম নেয়। তার বয়স হয়েছে ১২ বছর। আদালত আসামি, ভুক্তভোগী নারী ও ওই শিশুর ডিএনএ পরীক্ষার পর শিশুটির পরিচয় শনাক্ত হয়। রায়ে আসামি রফিকুল ইসলামকে ওই শিশুর পিতার স্বীকৃতি দেয়া হয়।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর