২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৫:৪৭

খাদ্যে ‘বিষক্রিয়ায়’ বিচারক দম্পতি অসুস্থ, ভাতিজিসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

খাদ্যে ‘বিষক্রিয়ায়’ বিচারক দম্পতি অসুস্থ, ভাতিজিসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

রাজশাহীতে সকালের নাস্তা খেয়ে ‘বিষক্রিয়ায়’ অসুস্থ হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বিচারক দম্পতি। ইতিমধ্যেই তারা সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়াও পেয়েছেন। ছাড়া পেয়ে এ ঘটনায় থানায় মামলা করেছেন বিচারক জুয়েল অধিকারী।

মামলায় বিচারকের বাসায় থাকা (বাসার কাজ করতেন) তার স্ত্রী জয়ন্তী রানীর আপন ভাতিজি, বিচারকের শ্যালকসহ ৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। শনিবার রাতে নগরীর রাজপাড়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন। সোমবার সকালে রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত শুক্রবার রাজশাহীর অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল অধিকারী (৪২) ও তার স্ত্রী অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জয়ন্তী রানী (৪০) সকালের নাস্তা খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

রামেক হাসপাতাল সূত্র জানায়, শুক্রবার খাদ্যে বিষক্রিয়ার পর বিচারক জুয়েল অধিকারী ও তার স্ত্রী জয়ন্তী রানীকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে জয়ন্তী রানীকে কেবিনে ও জুয়েল অধিকারীর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) পাঠানো হয়। তারা কী খেয়ে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন, তা জানতে পাকস্থলী থেকে নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে।

রামেক হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগের ইনচার্জ ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, বিচারক দম্পতির একজনকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছিল। আমরা সমস্ত রকম টেস্ট করেছি। তবে কী ধরনের বিষক্রিয়া ছিল তা পাওয়া যায়নি। খুব সামান্য পরিমাণে বিষক্রিয়া হওয়ায় শনিবার দুপুর ২টার দিকে তারা হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে চলে গেছেন।

রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম জানান, বিচারক জুয়েল অধিকারী শনিবার গভীর রাতে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। এতে বলা হয়েছে, বিচারক জয়ন্তী রানীর ১৪ বছর বয়সী এক ভাতিজি তাদের বাসায় থাকতেন। সকালের নাস্তায় সে হয়তো কারও ইন্ধনে কিছু মিশিয়েছে। তবে কী মেশানো হয়েছিল, তা এখনও জানা যায়নি। 

মামলার আসামি করা হয়েছে ভুক্তভোগী রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ জয়ন্তী রানী দাসের ভাতিজি সুপ্রীতি দাস মৌ (১৪), জয়ন্তী রানীর ভাই মানিক চন্দ্র দাস, মানিক চন্দ্র দাসের স্ত্রী, ভাতিজি সুপ্রীতি দাসের পরিচিত এক যুবক, ওই যুবকের বাবা ও মা এবং অন্য আরেকজন। মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানান ওসি।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর