খুলনায় সব রুটের বাস ও যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধের পর এবার বন্ধ করা হয়েছে নগরে প্রবেশের প্রধান দুই খেয়াঘাট। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বিএনপির গণসমাবেশে আসতে ইচ্ছুক নেতা-কর্মীসহ সাধারণ যাত্রীদের।
শুক্রবার রাতে ২৪ ঘণ্টার জন্য রূপসা ও জেলাখানা ঘাট বন্ধের ঘোষণা দেন নৌকা মাঝি সমিতির নেতারা। নেতারা বলছেন, যাত্রীপ্রতি ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে ২৪ ঘণ্টার ধর্মঘট করছেন তারা। শুক্রবার সন্ধ্যায় তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে এই কর্মসূচি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংগঠনের সভাপতি মো. রেজা ব্যাপারী ও সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাদাৎ হোসেন ব্যাপারী। শুক্রবার (২১ অক্টোবর) রাতে রূপসা ঘাটে এ সংক্রান্ত নোটিশ টানানো হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার (২১ অক্টোবর) ভোর থেকে সড়ক-মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধ এবং যত্রতত্র বিআরটিসির কাউন্টার বন্ধের দাবিতে খুলনার ১৮টি রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় বাস মালিক সমিতি। একই সাথে শ্রমিকদের বেতন বাড়ানোসহ ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট শুরু করে যাত্রীবাহী লঞ্চ শ্রমিকরা। এতে সারাদেশ থেকে এক প্রকার বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে খুলনা শহর। পরিবহন ধর্মঘটের কারণে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাতে না পেরে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেন, ২২ অক্টোবর বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে আসতে বাধা দিতেই এ ধরনের ধর্মঘট কর্মসূচি ডেকে ভোগান্তি তৈরি করা হচ্ছে।
এদিকে, রূপসা ঘাট মাঝি সংঘের সভাপতি মো. রেজা ব্যাপারী বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে সকল পরিবহনের ভাড়া বেড়েছে। এমনকি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামও পূর্বের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। অথচ নানা প্রতিকূলতার কারণে রূপসা ঘাটের ট্রলার ভাড়া বাড়েনি। তাই আমার যাত্রী প্রতি এক টাকা ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে ২২ অক্টোবর ২৪ ঘন্টার জন্য ঘাট পারাপার বন্ধের ঘোষণা দিয়েছি।
সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাদাৎ ব্যাপারী বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও জ্বালানী তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে ঘাট পারাপারের যাত্রী প্রতি এক টাকা ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে আমরা বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছি। কিন্তু এতে কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী কমিটির সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ