প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৯ জানুয়ারি রাজশাহীতে যাবেন। তার আগে নগরীর বিশিষ্টজনদের নিয়ে মতবিনিময় করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। তাতে বিশিষ্টজনরা দাবি তোলেন, শিক্ষানগরী হিসেবে রাজশাহীর স্বীকৃতি ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা। মঙ্গলবার দুপুরে নগর ভবনে সিটি হলরুমে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে মেয়র এএইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, শিক্ষানগরীর সরকারি স্বীকৃতি নেই। তবুও আমরা সেটি বলতে ভালবাসি। একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি আমরা দীর্ঘসময় থেকে করছি। সব অবকাঠামো আছে। সেটি হলে রাজশাহীর জন্য ভাল।
তিনি আরও বলেন, রাজশাহী মহানগরীর উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছেন। প্রকল্পের আওতায় রাজশাহী মহানগরীর ব্যাপক উন্নয়ন কাজ চলছে। কর্মসংস্থান ও শিল্পায়নের চেষ্টা অব্যাহত আছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্কের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বিসিক শিল্পনগরী-২ তৈরি করা হয়েছে। এখন প্লট বরাদ্দের অপেক্ষায় আছে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল খালেক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শাহ আজম শান্তনু, সাবেক প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা জিনাতুন নেসা তালুকদার, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি নূর কুতুবউল আলম, বঙ্গবন্ধু পরিষদ রাজশাহী মহানগরের সভাপতি অধ্যাপক নুরুল আলম, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক শামসুদ্দিন খোকন।
বিশিষ্টজনরা বলেন, রাজশাহীতে বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলেও শিক্ষানগরীর স্বীকৃতি নেই। প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে সেই আশা যেন পূরণ হয়। এছাড়া কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি তো থাকছেই। এছাড়া উত্তরাঞ্চলের পিছিয়ে পড়া জেলার মধ্যে রাজশাহী অন্যতম। এখানে তেমন কল-কারখানা গড়ে ওঠেনি। বন্ধ শিল্প-কারখানাগুলো চালু করে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির প্রতিশ্রুতি চান বিশিষ্টজনরা।
বিডি প্রতিদিন/এমআই