বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বিরুদ্ধে জবরদস্তি এবং মারধরের অভিযোগ করেছেন একজন মুক্তিযোদ্ধা। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বরিশাল প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হালিম।
লিখিত বক্তব্যে তিনি কালিকাপুর গ্রামে তার নিজের (মুক্তিযোদ্ধা) ব্যক্তিগত জমির উপর দিয়ে ফসলি জমিতে পানি সেচ ও নির্গমনের জন্য নালা (ড্রেন) নির্মাণে জবরদস্তি ও মারধরের অভিযোগ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত ফাতিমার বিরুদ্ধে। গত সোমবার সকালে জবরদস্তিতে বাধা দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা ও তার স্ত্রীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে এবং তার ছেলেসহ দুজনকে ৩ মাস করে কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করেন। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধার নিজস্ব পোল্ট্রি ফার্ম, টিউবয়েল এবং নতুন খনন করা পুকুর বিনষ্ট করার অভিযোগ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রশাসনের জবরদস্তির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার দাবি করেন মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হালিম ও তার স্ত্রী নাসিমা বেগম। একই সাথে বিনাদোষে কারাগারে থাকা ছেলেসহ দুজনের মুক্তি দাবি করেন তারা।
এ বিষয়ে বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত ফাতিমা বলেন, জনস্বার্থে পুরনো একটি নালা উদ্ধার করে প্রায় অর্ধশত পরিবারের কৃষি জমিতে সেচের ব্যবস্থা করা হয়েছে। একই সাথে ওই বাড়িঘর জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা পাবে। নালা উদ্ধার করার সময় কিছু দুর্বৃত্ত সরকারি কাজে বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়। এ ঘটনায় কোনো জবরদস্তি হয়ে থাকলে জেলা প্রশাসন বিষয়টি দেখবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই