মোটরসাইকেল চলাচল নীতিমালা-২০২৩ অবাস্তব ও জনবিরোধী দাবি করে এই নীতিমালার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন রাজধানীর মোটরবাইক চালকরা। ৩০ কি.মি. কম গতিতে বাইক চলাচল, মহাসড়কে দুইজনের বেশি বাইক চালানো যাবে না- এমন বিধানের তীব্র সমালোচনা করেছেন তারা। বুধবার (০১ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে এক মানববন্ধন থেকে তারা এ দাবি জানান।
দাবি আদায়ে ৫ মার্চ বিআরটিএ চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি দেওয়ার কথা জানিয়ে বাইকাররা বলেন, প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বরাবরও স্মারকলিপি দেওয়া হবে। তিনি সবকিছু পর্যালোচনা করে যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত নেবেন বলে আমরা আশা করি। যা সমগ্র তরুণ সমাজ তথা তরুণ উদ্যোক্তাদের দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে উদ্বুদ্ধ করবে।
মোটরসাইকেল চালকদের জন্য নীতিমালাটি ‘সাংঘর্ষিক ও অবাস্তব’ উল্লেখ করে তারা জানান, সড়কে সাইকেল বা রিকশার গতি ঘণ্টায় ২০-২৫ কিলোমিটার। মোটরসাইকেলের মতো একটি বাহনের সর্বোচ্চ গতি ৩০ কিলোমিটার কখনই গ্রহণযোগ্য নয়। ঢাকার চালকরা মোটরসাইকেল ব্যবহার করেন সময় বাঁচানোর জন্য। এখানে গতিসীমা ৩০ কিলোমিটার হলে লাইসেন্স করে ও বছর বছর কর দিয়ে মোটরসাইকেল চালানোর কোনো যুক্তি নেই।
প্রসঙ্গত, সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় গঠিত ৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি মোটরসাইকেল চলাচলের খসড়া নীতিমালা তৈরি করেছে। কমিটিতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ), বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), পুলিশ এবং সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা রয়েছেন।
খসড়া নীতিমালায় তিনটি উদ্দেশ্যের কথা উল্লেখ করা হয়েছে- মোটরসাইকেল চলাচল নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনা কমানো, অপেক্ষাকৃত কম ঝুঁকিপূর্ণ মোটরসাইকেল ব্যবহারে উৎসাহ তৈরি, মোটরসাইকেল চালকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো।
খসড়া নীতিমালায় বলা হয়েছে, জরুরি প্রয়োজনে স্বল্প দূরত্বে যাতায়াতের জন্য মোটরসাইকেল ব্যবহার করা হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দূরের পথে মহাসড়কসহ সর্বত্র মোটরসাইকেলের চলাচল দেখা যায়। বিশেষ করে উৎসবের সময় মোটরসাইকেলের ব্যবহার বহুগুণ বেড়ে যায়। এ ক্ষেত্রে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় বিপুল প্রাণহানি ঘটছে। এ জন্য মোটরসাইকেলের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।
নীতিমালায় ঈদের সময় মহাসড়কে ১০ দিন মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া আরও কিছু বিষয় যুক্ত করেছে কমিটি।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ