২৯ মার্চ, ২০২৩ ১৬:৫০

নিনসের স্বাচিপ শাখার উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আলোচনা সভা

অনলাইন ডেস্ক

নিনসের স্বাচিপ শাখার উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আলোচনা সভা

অগ্নিঝরা মার্চ : বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতা ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

‘অগ্নিঝরা মার্চ : বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতা ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার এই সভার আয়োজন করে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস (নিনস) হাসপাতালের স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) শাখা। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. মো. জামাল উদ্দিন চৌধুরী ও মহাসচিব ডা. মো. কামরুল হাসান মিলন, নিনসের পরিচালক অধ্যাপক কাজী দীন মোহাম্মদ, যুগ্ম পরিচালক অধ্যাপক বদরুল আলম, ডা. সেলিম শাহী।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নিনসের স্বাচিপের সভাপতি অধ্যাপক এম এস জহিরুল হক চৌধুরী ও সঞ্চালনা করেন স্বাচিপের নিনস শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. শিরাজী শাফিকুল ইসলাম।
পুরো অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়।

ডা. সেলিম শাহী বলেন, অগ্নিঝরা মার্চ মাস। এ মাসেই জন্ম হয়েছে বঙ্গবন্ধু আর বাংলাদেশের। টুঙ্গিপাড়ার খোকা থেকে বঙ্গবন্ধু হলেন বিশ্বনেতা। 

অধ্যাপক বদরুল আলম বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম থেকেই বাংলাদেশের জন্ম। আজকে আমরা চিকিৎসক, গবেষক, ইঞ্জিনিয়ার হতে পেরেছি বাংলাদেশ হয়েছে বলে। বাংলাদেশের জন্মের কারিগর ছিলেন বঙ্গবন্ধু। 

অধ্যাপক কাজী দীন মোহাম্মদ বলেন, স্বাস্থ্যখাতে এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে বঙ্গবন্ধুর স্পর্শ নেই। ১৯৭২ সালে তিনি বিসিপিএস (বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস্ এন্ড সার্জনস্), গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিএমআরসি (বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ) প্রতিষ্ঠা করেন। এগুলোর মাধ্যমে আজ দেশের চিকিৎসা খাতের অর্জন সাধিত হচ্ছে।

অধ্যাপক কামরুল হাসান মিলন বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মের মাধ্যমে জন্ম হয়েছে বাংলাদেশের। তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টির কারণে আমাদের দেশের চিকিৎসা খাত মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে।

ডা. জামাল উদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধু জীবনের বেশিরভাগ জেলখানায় কাটিয়েছেন। পাকিস্তানি শাসকরা আমাদের শোষণ করেছে। এ শোষণের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য আজীবন কাজ করেছেন বঙ্গবন্ধু। চিকিৎসকদের পদোন্নতিসহ সকল সুবিধার ব্যবস্থা করেছেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ডা. রোকেয়া সুলতানা বলেন, নারীদের জাগরণেও কাজ করে গেছেন বঙ্গবন্ধু। তার সময়ে প্রতিমন্ত্রী ছিলেন দুইজন নারী। বীরাঙ্গনাকে রাষ্ট্রদূত করেন তিনি। 

ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন, শোষণের বিপক্ষে বঙ্গবন্ধু ছোটবেলা থেকেই কাজ করে গেছেন। সেইসাথে নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষের জন্য কাজ করেছেন। তার ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্বখ্যাত হয়ে আছে। তার ডাকে দেশের মানুষ মুক্তির সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় মাত্র সাড়ে ৯ মাসে জন্ম হয় বাংলাদেশের। বাংলাদেশের জন্ম বাইচাঞ্চ ভাবে হয়নি। রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে জন্ম হয়েছে বাংলাদেশের।

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর