নদী রক্ষা কমিশনের প্রকাশিত ‘বাংলাদেশের নদ-নদী: সংজ্ঞা ও সংখ্যা’ বইয়ে রংপুর অঞ্চলের একশটি নদী বাদ পড়েছে। তেমনি একটি নদী রংপুর নগরীর প্রাণ কেন্দ্র দিয়ে বয়ে যাওয়া খোকসা ঘাঘট। বাদ পড়া প্রবাহমান নদীগুলোকে তালিকাভূক্ত করার দাবি জানিয়েছে রিভারাইন পিপল বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি।
শুক্রবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ একটি মিছিল নিয়ে নগরীর খোকসা ঘাঘট নদীর পাড়ে আসেন। এরপর সেখানে নদী রক্ষা কমিশনের বইয়ে বাদপড়া রংপুর নগরীর প্রবাহমান খোকসা ঘাঘট নদীর তীরে আত্মরক্ষার আকুতিমূলক সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেন।
রিভারাইন পিপলের পরিচালক অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদের সভাপতিত্বে কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক খাইরুল ইসলাম পলাশ, রিভারাইন পিপল বেরোবি শাখার আহ্বায়ক ছাওমুন পাটোয়ারী সুপ্ত, সদস্য সচিব শিহাব প্রধান, শিক্ষার্থী মোহনা আক্তার মায়াসহ অন্যরা। এ সময় নদীর রক্ষা কমিশনের ত্রুটিপূর্ণ বইয়ের প্রকাশ, প্রচার বন্ধসহ বাদ পড়া রংপুর বিভাগে শতাধিক নদীকে তালিকাভূক্ত করার দাবি জানান তারা।
রিভারাইন পিপলের পরিচালক অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, বিগত সময়ে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন খোকসা ঘাঘট নদী রক্ষার জন্য অনেক কাজ করেছে। এখানকার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। চেয়ারম্যান বদলে যাওয়ার পর নদী রক্ষা কমিশনের তালিকা থেকে এ নদীর নামও বাদ পড়ে গেছে। সিএস নকশায় খোকসা ঘাঘট নদী। এটি দৈর্ঘ্যে ১০ কিলোমিটার, প্রস্থেও স্বাস্থ্যবান নদী। এ নদী নগরীর পানি নিস্কাশনে বড় ভূমিকা রাখে। আইনগত ভাবে এটি জীবন্ত স্বত্ত্বা। অথচ নদীরক্ষা কমিশনের তালিকায় এই নদী নেই। তাই আমরা খোকসা ঘাঘট নদীর তীরে আত্মরক্ষার আকুতিমূলক সাইনবোর্ড স্থাপন করেছি। পর্যায়ক্রমে নদী রক্ষা কমিশনের তালিকা থেকে বাদ পড়া নদীগুলোতে এ কর্মসূচি পালন করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল