ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) চিকিৎসা নিতে এসে নতুন ভবনের সপ্তম তলার জানালা দিয়ে লাফিয়ে পড়া জহিরুল ইসলাম (২৭) নামের সেই যুবক মারা গেছেন। তিনি একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করতেন। বৃহস্পতিবার ঢামেক হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকাল ৪টা ৫০ মিনিটে তিনি মারা যান।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢামেক হাসপাতালের প্লাটুন কমান্ডার মো. উজ্জ্বল মিয়া। মৃতদেহটি হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢামেক পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া। তিনি জানান, বিষয়টি শাহবাগ থানাকে অবগত করা হয়েছে। নিহত জহিরুল ময়মনসিংহ জেলার পাগলা উপজেলার বড়ইহাতি চকপাড়া গ্রামের মৃত আসাদুজ্জামান ও মা জোসনা বেগমের ছেলে।
সম্প্রতি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিউরো মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করানো হয় জহিরুলকে। তার সেবার জন্য সাথে ছিলেন মা জোসনা বেগম। সঙ্গে এক শিশুও ছিল। গত ১১ মার্চ রাত আনুমানিক এগারোটার দিকে তার মা ওয়াশ রুমে যান। এই ফাঁকে জহিরুল হাসপাতালের পেছনের দিকে জানালা দিয়ে নিচে লাফিয়ে পড়েন বলে জানা যায়।
চিকিৎসকের বরাদ দিয়ে ঢামেক পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, রোগীর পা, কোমর ও মাথায় গুরুতর ফ্যাকচার হয়েছিল।
রোগীর ছোট ভগ্নিপতি নিলয় বাবু বলেন, জহিরুল ইসলাম একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করতেন। হঠাৎ করে তার মাথায় বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। মাঝে মধ্যে এলোমেলো কথাবার্তা বলতেন। পরে স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/শআ