বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ঘোষণা করে শপথ পড়ানোর দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন বিক্ষোভকারীরা। আন্দোলনকারীরা নগর ভবনের সব গেইটে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাসহ ডিএসসিসির বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নগর ভবনে প্রবেশ করতে পারেননি। অপরদিকে, এই অবস্থান কর্মসূচির ফলে গুলিস্তান মাজারের দিক থেকে বঙ্গবাজার অভিমুখী সড়কের দুই পাশে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।
সকাল থেকেই আন্দোলনকারীরা ‘ঢাকার সাধারণ ভোটারদের আয়োজনে নগর ভবন অবরোধ, আয়োজনে: নগরবাসী’ ব্যানার নিয়ে বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে মিছিলসহ নগর ভবনের সামনে জড়ো হন। নগর ভবনের মূল ফটক, আশপাশের রাস্তা এবং প্রবেশপথে অবস্থান নেওয়ার কারণে এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। সেবা প্রত্যাশীরা নগর ভবন থেকে ফিরে যান। অনেক কর্মকর্তা গুরুত্বপূর্ণ কাজ থাকলেও সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে অফিসে প্রবেশ করতে পারেননি।
অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, “ইশরাকের শপথ নিয়ে নানা টালবাহানা চলছে। আদালতের রায় ও নির্বাচন কমিশনের গেজেট প্রকাশের পরও জনতার মেয়র ইশরাককে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়েই লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি চলছে।”
উল্লেখ্য, গত ২৭ মার্চ ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে ঘোষণা করেন। এরপর ২৭ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশ করে তাকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। তবে এখন পর্যন্ত তার শপথ গ্রহণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, যা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করছেন ইশরাকের সমর্থকরা।
প্রয়াত বিএনপি নেতা ও সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেন পুরান ঢাকার জনগণের কাছে দীর্ঘদিন ধরেই পরিচিত ও জনপ্রিয়। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ মানুষই পুরান ঢাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দা, যারা ২০২০ সালের সিটি নির্বাচনে ইশরাককে ভোট দিয়েছিলেন।
বিক্ষোভকারীরা জানান, জনগণের রায়কে উপেক্ষা করে শপথ গ্রহণে বিলম্ব কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। তাদের একমাত্র দাবি- আদালতের রায়ের আলোকে ইশরাক হোসেনকে দ্রুত শপথ পড়ানো হোক এবং মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হোক। বিক্ষোভকারীরা এই কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন, যতক্ষণ না তাদের দাবি বাস্তবায়িত হচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ