গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যা মামলায় ৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জিএমপির বাসন থানার এস আই দুলাল চন্দ্র দাস।
সোমবার (২৫ আগস্ট) গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার মো. রবিউল হাসান জিএমপির হেডকোয়ার্টার্স সভাকক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
উপ-পুলিশ পুলিশ কমিশনার বলেন, গত ৭ আগস্ট রাতে চান্দনা চৌরাস্তায় সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও বিভিন্নভাবে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্ত ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে কেটু মিজান, তার স্ত্রী গোলাপীসহ ৮ জনের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত হয়ে তাদের বিরুদ্ধে রবিবার আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। আর ১৭ দিনের মধ্যেই মামলার চার্জশিট প্রদান করা হয়েছে।
উপ-পুলিশ কমিশনার আরও জানান, তুহিন হত্যাকাণ্ডের পর তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তার মোবাইল ফোনটি বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। ফোনটি উদ্ধারের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার অশোক কুমার পাল, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. রবিউল ইসলাম, বাসন থানার ওসি মো. শাহীন খান উপস্থিত ছিলেন।
চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন, গ্রেফতার জামালপুরের মেলান্দহ থানার মাহমুদপুর এলাকার মোবারক হোসেনের ছেলে মিজানুর রহমান ওরফে কেটু মিজান (৩৪), একই জেলার মো. সুলাইমানের মেয়ে ও কেটু মিজানের স্ত্রী পারুল আক্তার ওরফে গোলাপী (২৫), খুলনা শহরের সোনাডাঙ্গা থানার ময়লাপোতা এলাকার মো. হানিফের ছেলে মো. আল আমীন (২১), পাবনা জেলার ফরিদপুর থানার সোনাহারা এলাকার মৃত নূর মোহাম্মদের ছেলে স্বাধীন ওরফে সেলিম (২৮), কুমিল্লার হোমনা থানার অনন্তপুর এলাকার হানিফ ভূইয়ার ছেলে মো. শাহজালাল ওরফে জালাল (৩২), পাবনা চাটমোহর থানার পাঁচবাড়িয়া এলাকার কিয়ামুদ্দিনের ছেলে মো. ফয়সাল হাসান (২৩), শেরপুরের নকলা থানার চিতলিয়া এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে সুমন ওরফে সাব্বির (২৭) এবং রফিকুল ইসলাম ওরফে আরমান (৩০)।
উল্লেখ্য, গত ৭ আগস্ট রাতে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তিনি দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার গাজীপুরের স্টাফ রিপোর্টার ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ