'প্রবীণদের সেবা দিন, নিজের বার্ধক্যের প্রস্ততি নিন' শ্লোগানটি দেশব্যাপী ও বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে ৪র্থ বারের মতো বাংলাদেশের সুবিধা বঞ্চিত প্রবীণদের সেবায় জনসচেতনতামূলক অনুষ্ঠান করেছে সভ্যতা।
এ লক্ষ্যে শুক্রবার বিকাল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বরে 'পিতা-মাতাকে না বলা কথা' শতাধিক চিঠি গ্যাস বেলুনে উড্ডয়ন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বলা হয়, বাংলাদেশে বার্ধক্য বিষয়ে তেমন কোনো অনুষ্ঠান হয় না। কিন্তু অদ্ভূত ব্যাপার হলো বার্ধক্য প্রতিজন মানুষের সমস্যা।এক্ষেত্রে ব্যক্তি পরিবার যতটুকু অনাগ্রহ- উদাশীল, রাষ্ট্র-সরকার জাতিসংঘের বিপরীত, অর্থাৎ তারা যথেষ্ট এগিয়ে আসছে। আমাদের উচিৎ বিশ্বের ডাকে, রাষ্ট্রের ডাকে, সরকারের ডাকে নিজের বার্ধক্য মোকাবেলায় এই ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা এবং আমাদের তথ্যগুলো সবার কাছে ছরিয়ে দেওয়া, যাতে করে আমরা নিজেরা ভাল থাকতে পারি, ভাল রাখতে পারি। প্রবীণদের ভাল রাখলে আপনি নিজেও ভাল থাকবেন।
জানা যায়, দেশে প্রায় দেড় কোটি বা তার বেশি প্রবীণ রয়েছেন। ২০২৫ সালে এদের সংখ্যা হয়ে যাবে প্রায় ২ কোটি, ২০৫০ সালে হবে প্রায় সাড়ে চার কোটি. ২০৬০ সালে এদের সংখ্যা হয়ে যাবে সাড়ে ৫ কোটি অর্থাৎ দ্রুততার সঙ্গে বাড়ছে এবং আমরা যাদের বলি অতি প্রবীণ অর্থৎ ৮০ বছরের বেশি, তাদের বৃদ্ধির হার যে কোনো প্রজন্ম থেকে সবচেয়ে বেশী এবং ওই সময়ে নিজেকে কোনো রকম কোনো ধরনের উন্নয়নের সাথে সম্পৃক্ত রাখা সম্ভব হয় না। বরং তাকে সেবা দেওয়ার জন্য প্রচুর পরিমাণে অর্থ ব্যয় করতে হয়, প্রচুর পরিমাণে সেবার ব্যবস্থা করতে হয়। তাদেরকে আমরা সম্মান দিচ্ছি না ,তাদের যে অধিকার, সেই বিষয়ে অমরা চিন্তা করছি না, সেবা করছি না, এগিয়ে আসছি না। সেই ব্যাপারে সচেতন করার জন্য মানুষকে এগিয়ে আসার জন্য সভ্যতা আহ্বান করছে।
অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামান। এছাড়াও বিভিন্ন সামজিক সংগঠনগুলো অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে প্রবীণদের প্রতি সম্মান ও নিজেদের বার্ধক্যের প্রস্তুতির জন্য একাত্মতা প্রকাশ করেন।
পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ আইন, বয়স্ক ভাতা, বিধাবা ভাতা ও বিভিন্ন ভাতা বিষয় বাস্তবায়নের জন্য বক্তব্য রাখেন- পুরান ঢাকা মঞ্চের পক্ষে মোস্তাক রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য দেন সভ্যতার চেয়ারম্যান রেজওয়ানা হোসেন সুমী। অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য রাখেন সভ্যতার সিইও আলোকচিত্র সাংবাদিক শাকিল হোসেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন আনোয়ার হাসান বাবু।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম
