“অক্ষমতা এবং ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি” নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণের আয়োজন করে ‘এসপায়ার টু ইনোভেট- এটুআই এবং সামাজিক সংস্থা ফ্রেন্ডশিপ। সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি নসরুল হামিদ মিলনায়তনে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণে অংশ নেন জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত প্রায় ২৫ জন সাংবাদিক।
প্রশিক্ষণ শেষে সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে কুড়িগ্রাম-গাইবান্ধার চরাঞ্চলে ‘ডিজঅ্যাবিলিটি প্রকল্পের কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন ফ্রেন্ডশিপের জ্যেষ্ঠ পরিচালক আয়শা তাহসিন খান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, উত্তরের চরাঞ্চলে বসবাসকারী শারীরিক অক্ষমদের (প্রতিবন্ধী) জন্য জীবনযাত্রা খুবই চ্যালেঞ্জিং। প্রতিনিয়ত জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিক্ষার হচ্ছে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা। সাধারণ মানুষের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি লড়াই-সংগ্রামে অবতীর্ণ হতে হয় যমুনা-ব্রহ্মপুত্রের চরের প্রতিবন্ধী ব্যাক্তিদের। তাই স্বাভাবিক জীবনযাত্রা, স্বাস্থ্য, শিক্ষার মত মৌলিক অধিকারে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সীমাবদ্ধতা ও চ্যালেঞ্জকে গুরুত্ব দিয়ে নেওয়া হয়েছে এ বিশেষ উদ্যোগ। এ প্রত্যন্ত অঞ্চলে শারীরিক অক্ষম ব্যক্তিদের সীমাবদ্ধতা গণমাধ্যমে তুলে ধরার আহবানও জানান তিনি। সাংবাদিকদের সহযোগিতায় এমন কর্মসূচির মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্রে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা সম্পদ হিসেবে গড়ে উঠবে বলে আশা করেন তিনি।
প্রশিক্ষণ শেষে সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি-ডিআরইউ সভাপতি মুরসালিন নোমানী। প্রতিবন্ধি ব্যাক্তিদের জন্য এটুআই এবং ফ্রেন্ডশিপের মহৎ উদোগকে সাধুবাদ জানান তিনি। ফ্রেন্ডশিপের সহকারী পরিচালক আহমেদ তৌফিকুর রহমান জানান, প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সক্ষম মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা। তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়নে সমাজে তাদের অবদান আছে এবং তারাও গুরুত্বপূর্ণ অংশ–এটা প্রতিষ্ঠিত করা প্রকল্পের অন্যতম লক্ষ্য।প্রশিক্ষণে বিভিন্ন পর্ব পরিচালনা করেন এটুআই প্রকল্পের জাতীয় পরামর্শক ভাস্কর ভট্টাচার্য্য, ফ্রেন্ডশিপ নেদারল্যান্ডসের পরিচালক বেটেকে দ্য গাই ফোর্টম্যান, ফ্রেন্ডশিপের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার নুসরাত জেরিন, টিম লিডার আবু মোহাম্মদ শিহাব, টেকনিক্যাল লিডার নুসরাত জেরিন। প্রশিক্ষণটি সাংকেতিক ভাষায় উপস্থাপন করেন আরাফাত সুলতানা লতা।