সমাজে প্রতিষ্ঠিত কিছু লোক জড়িয়ে পড়ছেন ইয়াবা ব্যবসায়। পুলিশ ও সরকারি কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী এমনকি সাংবাদিকও রয়েছেন এ তালিকায়। গত কয়েক দিন ইয়াবা ব্যবসা ও ইয়াবা পরিবহনের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন ব্যবসায়ী, শিক্ষা বোর্ডের সিবিএ নেতা, সাংবাদিক এবং ধনাঢ্য পরিবারের কয়েকজন সন্তান। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে এসেছে এ ব্যবসায় জড়িত সমাজে প্রতিষ্ঠিত অনেকের নাম। এই ব্যক্তিদের ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার তথ্য পেয়ে ‘চক্ষু যেন চড়কগাছ’ হয়ে গেছে প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের। প্রতিষ্ঠিতদের মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে যাওয়াকে সামাজিক অবক্ষয় বলে মনে করেন সমাজ বিজ্ঞানীরা। সমাজ বিজ্ঞানী ড. গাজী সালাহ উদ্দিন বলেন, ‘যখন আদর্শ ও নৈতিক অবক্ষয় হয়, তখন মানুষ মাদক ব্যবসার মতো জঘন্য অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। একই সঙ্গে লোভ-লালসাও অপরাধে জড়িয়ে পড়ার আরেকটা কারণ।’ চট্টগ্রাম মেট্রো মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আলী আসলাম বলেন, ‘সাম্প্রতি গ্রেফতার হওয়া কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদে সমাজে প্রতিষ্ঠিত কিছু ব্যক্তির ইয়াবা ব্যবসায় সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের দেওয়া তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। যাদের নাম উঠে এসেছে তাদের ইয়াবা ব্যবসায় সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ সম্প্রতি বেশকিছু আলোচিত ইয়াবা চালান আটকে নেতৃত্ব দিয়েছেন পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ মহসিন। বর্তমানে নগরীর বায়েজীদ থানার অফিসার ইনচার্জ মহসিন বলেন, ‘হাত খরচ জোগাতে মূলত ধনী পরিবারের সন্তানরা ইয়াবা ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছেন। ইয়াবা পরিবহনে প্রশাসনকে ফাঁকি দিতে ব্যবহার করছেন দামি ব্র্যান্ডের গাড়ি।’ জানা যায়, ২২ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সিবিএ নেতা মাহমুদুল হক ও আবদুল আজিজকে ২ হাজার ইয়াবাসহ গ্রেফতার করে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তারা পুলিশকে জানায় শিক্ষা বোর্ডের ভেতর বসেই তারা ইয়াবা ব্যবসা করতেন। ২১ ডিসেম্বর নগরীর বায়েজিদ থানাধীন অনন্যা আবাসিক এলাকা থেকে একটি বিলাসবহুল গাড়ি থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার পিস ইয়াবাসহ ধনাঢ্য পরিবারের দুই সন্তানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা জানায়, বিলাসবহুল জীবনযাপনের খরচ জোগাতে তারা ইয়াবা ব্যবসা করছে। ১৪ ডিসেম্বর ইয়াবা পরিবহনের অভিযোগে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের কক্সবাজার প্রতিনিধি ও তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করে চট্টগ্রাম মেট্রো মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৪০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। কয়েক মাস আগে একটি গোয়েন্দা সংস্থা ইয়াবা ব্যবসা ও পাচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রদান করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, কক্সবাজার-চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটে ইয়াবা পরিবহন ও ব্যবসায় জড়িত ৬৫ পুলিশ সদস্য।
শিরোনাম
- আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
- রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান
- ঢাকায় ভূমিকম্পে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা
- ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ
- নারায়ণগঞ্জ জেলায় ভূমিকম্পে শিশুর মৃত্যু, আহত ২৪
- যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ
- রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি
- ‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’
- পোস্টাল ভোটিং: দুই দিনে সাড়ে ৬ হাজার নিবন্ধন
- একসঙ্গে সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ শিক্ষক
- হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা
- ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে
- রাজশাহীতে বদ্ধ ঘর থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
- ‘ঢাকার পুরনো ভবনগুলোর ৯০ শতাংশ বিল্ডিং কোড না মেনে নির্মিত’
- ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০
- ধানের শীষে দেশের মানুষের আস্থা রয়েছে: দুলু
- ডেঙ্গুতে মৃত্যুহীন দিনে হাসপাতালে আরও ৪৩৬ জন
- যেভাবে স্মার্টফোনেই মিলবে ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা
- এমন ভূমিকম্প আগে কখনও অনুভব করিনি : ফারুকী
- ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের নির্দেশনা
‘প্রতিষ্ঠিতরা’ যখন ইয়াবা ব্যবসায়ী!
তালিকা দেখে বিস্ময় কর্মকর্তাদের
মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম
প্রিন্ট ভার্সন
টপিক
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর