বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

রাজশাহীতে সম্প্রীতির হাওয়া

দ্বন্দ্ব ভুলে এক মঞ্চে রাজনৈতিক নেতারা, চাঙ্গা হচ্ছেন কর্মীরা

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

রাজশাহীতে সম্প্রীতির হাওয়া

দ্বন্দ্ব ভুলে একাট্টা হয়েছেন রাজশাহীর নেতারা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

রাজশাহীর রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরেই ছিল শীর্ষ নেতাদের বিরোধ। অনেকের আবার মুখ দেখাদেখিও বন্ধ। তবে অতীত ভুলে এখন নেতারা আসছেন কাছাকাছি। ফলে রাজশাহীতে হঠাৎ করেই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্প্রীতির হাওয়া বইতে শুরু করেছে। জেলা ও নগর সভাপতিকে পাশে রেখেই নিজেদের মধ্যে এই ঐক্য গড়ে তুলছেন এমপি ও অন্য নেতারা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নেতাদের মধ্যে এমন সম্প্রীতির সম্পর্ক থাকলে কর্মীরা উজ্জীবিত হয়। সদর আসনের এমপি ফজলে হোসেন বাদশার বিপক্ষে প্রকাশ্যেই কথা বলেছেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ     সম্পাদক ডাবলু সরকার। বাদশাও কম যাননি। এসবই একাদশ নির্বাচনের আগের কথা। নির্বাচনের পর কিছুদিন আলাদা থাকলেও এবার সব তিক্ততা ভুলে এক হয়েছেন দুই নেতা। একটি টেলিভিশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এই দুই নেতাকে দেখা গেছে একান্ত আলাপচারিতায়। কেক তুলে খাইয়ে দিয়েছেন একে অন্যকে। ডাবলু সরকার অবশ্য বলছেন, সম্পর্কে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি ছিল। তবে গত নির্বাচনে ফজলে হোসেন বাদশা নৌকা প্রতীক পাওয়ার পর তার পক্ষেই আন্তরিকভাবে মাঠে ছিলেন। ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ‘তার (ডাবলু) সঙ্গে কোনোদিনই খারাপ সম্পর্ক ছিল না। সবার সঙ্গেই আমার ভালো সম্পর্ক।’ একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে রাজশাহী-৩ আসনের এমপি আয়েন উদ্দিনের বিপক্ষে প্রকাশ্যে অবস্থান নিয়েছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ। ওই আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন আয়েন উদ্দিন। আসাদের কর্মসূচিতে আয়েন উদ্দিন বাধা দিয়েছেন। হামলার ঘটনাও ঘটেছে। আবার আয়েনের কর্মসূচি প  করতে পাল্টা কর্মসূচি দিয়েছেন আসাদ। ওই আসনে আবারও মনোনয়ন পান আয়েন উদ্দিন। আসাদ কিছুদিন নিশ্চুপ ছিলেন। তবে বরফ গলেছে এই দুই নেতার সম্পর্কের। আসাদ জানান, ‘আয়েনের সঙ্গে মনোনয়ন নিয়ে প্রতিযোগিতা ছিল, কিন্তু শত্রুতা ছিল না।’ এমপি আয়েন উদ্দিন বলেন, ‘অনেকেই আমাদের সম্পর্কে ভাঙন ধরাতে চেয়েছিল। কিন্তু সেটা করতে পারেনি।’ রাজশাহী-৬ আসনের পর পর তিনবার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। গত সংসদ নির্বাচনে ওই আসনে মনোনয়ন পেতে জোটবদ্ধ মাঠে নামেন লায়েব উদ্দিন লাভলু, আক্কাস আলী ও সাবেক এমপি রায়হানুল হক। নির্বাচনের এক বছর আগে থেকে প্রকাশ্যে শাহরিয়ার আলমের বিরোধিতা করে মাঠে ছিলেন ওই তিন নেতা। স্থানীয়রা বলছেন, নেতাদের সম্পর্কের উন্নয়নের কারণে এবার বাঘা উপজেলায় বিজয়ী হয়েছেন লাভলু। দীর্ঘদিন পর শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে একই মঞ্চে দেখা গেছে লাভলুকে।

সর্বশেষ খবর