বৃহস্পতিবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

এরশাদ নেই তাই রংপুরে কোরবানিও কম!

রংপুর প্রতিনিধি

প্রতিবছর রংপুরে নেতা-কর্মীদের নিয়ে ঈদুল আজহা উদযাপন করতেন সদ্য প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। রংপুর মহানগরীসহ বিভিন্ন স্থানে প্রায় ২০টি গরু কোরবানি দিতেন তিনি। কিন্তু চেয়ারম্যানের মৃত্যুর পরই থেমে যায় জাতীয় পার্টির নানা কর্মকা । এ বছর মাত্র দুটি গরু কোরবানি করা হয়েছে রংপুরে। জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় এই নেতার মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে গরু কোরবানির সংখ্যা কমে যাওয়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে দলের সাধারণ কর্মীসহ এরশাদ ভক্তদের মাঝে। ১২ আগস্ট সকালে রংপুরের পল্লী নিবাসে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদসহ  সাতজনের নামে দুটি গরু কোরবানি করা হয়। এবার আর আগের মতো বিভিন্ন স্থানে সাংগঠনিকভাবে গরু কোরবানি করা হয়নি। এমনকি বর্তমান দলীয় চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরসহ পরিবারের পক্ষ থেকে জীবদ্দশায় এরশাদের দেওয়া ব্যক্তি ও সংগঠনে এবার গরু সরবরাহ করেননি কেউ। তবে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য, রংপুর মহানগরের সভাপতি সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান নগরীর এরশাদনগর ও রিকশা শ্রমিক পার্টির অফিসে এরশাদের পক্ষ থেকে দুটি গরু কোরবানি করেন। এ প্রসঙ্গে সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, ‘স্যার (এরশাদ) ২০টি গরু বিভিন্ন জায়গায় কোরবানি দিতেন। আমার সেই সামর্থ্য নেই। তবুও ক্ষুদ্র সামর্থ্যে স্যারের রুহের মাগফিরাত কামনায় আমি তার প্রতিষ্ঠিত এরশাদনগর এবং শাপলা চত্বরে রিকশা শ্রমিক পার্টির জন্য দুটি গরু কিনে কোরবানি দিয়েছি।’ মহানগর জাপার দফতর সম্পাদক কাজী জাহিদ হোসেন লুসিড বলেন, ‘এরশাদ স্যার প্রতিবছর যেসব জায়গাতে এবং সংগঠনে কোরবানির জন্য গরু কিনে দিতেন, এবার তা হয়নি। তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে পল্লী নিবাসে ও স্কাই ভিউতে গরু কোরবানি করা হয়েছে। এ ছাড়াও মহানগরের সাধারণ সম্পাদক দলীয় কার্যালয়ে একটি গরু কোরবানি দিয়েছেন।’

সর্বশেষ খবর