আর্থিক খাতে অনিয়ম, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা বন্ধে কমিশন গঠন এবং ঋণখেলাপিদের ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট-সংক্রান্ত জারি করা রুলের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। গতকাল শুনানি শেষে এ বিষয়ে রায়ের জন্য ৩ নভেম্বর দিন ঠিক করেছে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে আজমালুল হোসেন কিউসি, ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের পক্ষে শাহ মঞ্জুরুল হক ও দুদকের পক্ষে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান শুনানি করেন। মানবাধিকার সংগঠন এইচআরপিবির করা এক রিট আবেদনে হাই কোর্ট গত ১৩ ফেব্রুয়ারি এক আদেশে ঋণখেলাপির তালিকা দাখিলের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি নির্দেশ দেয়। একই সঙ্গে রুলে আর্থিক খাতে অনিয়ম, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা বন্ধে কমিশন গঠনের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না ও এই কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়। ২৪ জুন বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণখেলাপিদের তালিকা হাই কোর্টে দাখিল করে। ১৬ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট-সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করা হয়। এরপর রিটকারীদের আবেদনের শুনানি নিয়ে ২১ মে ওই সার্কুলারের ওপর ২৪ জুন পর্যন্ত স্থিতাবস্থা বজার রাখার জন্য আদেশ দিয়েছিল আদালত। বাংলাদেশ ব্যাংক আপিল বিভাগে গেলে ২ জুলাই আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত ৮ জুলাই পর্যন্ত হাই কোর্টের আদেশ স্থগিত করে। ৮ জুলাই স্থগিতাদেশ দুই মাস বাড়ানো হয়।
যারা ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্টের সুবিধা নেবেন তারা নতুন করে ঋণ নিতে পারবেন না। এ ছাড়া বিচারপতি জে বি এম হাসানের নেতৃত্বাধীন কোর্টে এ রিট মামলা শুনানি করতে বলা হয়।
