তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, কোনো নির্বাচন নিয়ে এবং নির্বাচনী প্রচারের ছোটখাটো ঘটনা নিয়ে বিদেশিদের সামনে নালিশ উপস্থাপন করাও একপ্রকার নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন। তাদের নালিশ থাকলে তা জনগণ বা ভোটারদের কাছে উপস্থাপন করবেন। মন্ত্রী গতকাল সচিবালয়ে নিজ দফতরে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করছিলেন। হাছান মাহমুদ বলেন, সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, বিএনপি আদালতে ইভিএমের বিরুদ্ধে নালিশ করতে গিয়েছিল। হাই কোর্ট তাদের পক্ষে রায় দেয়নি। যেখানে হাই কোর্ট তাদের পক্ষে রায় দেয়নি, একই নালিশ আবার বিদেশিদের সামনে উপস্থাপন করা, এটা তো আদালত অবমাননার শামিল।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হলে ভোট কেন্দ্র দখল, ব্যালট পেপার ছিঁড়ে বাক্সে ভরা, এ অভিযোগগুলো করার কোনো সুযোগ থাকে না, ফলাফলও দ্রুত পাওয়া যায়। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই আধুনিক প্রযুক্তিতে ভোট গ্রহণের বিরোধিতা বিএনপি কেন করছে, তা আমার বোধগম্য নয়।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা ইতিপূর্বে দেখেছি, ইভিএমে ভোট গ্রহণ যেখানে যেখানে হয়েছে সেখানে বিএনপি যে খারাপ করেছে তা নয়, অনেকক্ষেত্রে তারা খুব ভালো ফল করেছে। এখন ইভিএমে তাদের আপত্তির কারণ সম্ভবত প্রযুক্তিকে ভয় অথবা পরাজয়ের আভাস লক্ষ্য করে নিজেদের মুখ রক্ষার জন্য নানা ধরনের অভিযোগ তুলে এখনই নির্বাচনটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা।

নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের ‘নির্বাচন কমিশনেই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই’ এ মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশনার পদটি একটি সাংবিধানিক পদ, যেমন হাই কোর্টের বিচারপতিও সাংবিধানিক পদ। হাই কোর্টের কোনো বিচারপতি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় কখনো জনসম্মুখে উপস্থাপন করেন না। ওটা নিয়ম নয় এবং সাংবিধানিক পদে থেকে ওরকম করা সমীচীন নয়, কারণ এগুলো একান্তই অভ্যন্তরীণ বিষয়। সুতরাং সাংবিধানিক পদে থেকে নিজেদের কর্মপরিবেশ নিয়ে নিজেদের ফোরামে কথা বলাই বাঞ্ছনীয়। জনসম্মুখে ওভাবে বলা সাংবিধানিক পদধারীর নেওয়া শপথের বরখেলাপ কিনা, সেই প্রশ্ন অনেকেই রেখেছেন।