বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা
সংসদে সাধারণ আলোচনা

বিএনপির সমালোচনায় মন্ত্রী এমপিরা

সংসদে গান গাইলেন মমতাজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের মন্ত্রী-এমপিরা বলেছেন, বিএনপির ভোটাররাও দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছে বিএনপি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকবে, নাকি অতীতের মতো মিথ্যা অভিযোগ তুলে মাঠ ছেড়ে পালাবে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে একাদশ সংসদের ষষ্ঠ অধিবেশনে গতকাল রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তারা এ কথা বলেন। আলোচনায় আরও অংশ নেন সাবেক ডেপুটি স্পিকার অধ্যাপক আলী আশরাফ, জলবায়ু বিষয়ক উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, সরকারি দলের আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী, জিল্লুল হাকিম, নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, মেহের আফরোজ চুমকি, মমতাজ বেগম, হাবিবা রহমান খান, আলী আজম, উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, গাজী মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ এবং জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম। সামুদ্রিক মৎস্য বিল উত্থাপিত : সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় বিধান ও বিদ্যমান সামুদ্রিক মৎস্য অধ্যাদেশ ১৯৮৩ রহিত করে সামুদ্রিক মৎস্য বিল-২০২০ জাতীয় সংসদে উত্থাপিত হয়েছে। পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ২৫ কার্যদিবসের মধ্যে সংসদে রিপোর্ট প্রদানের জন্য বিলটি সংশ্লিষ্ট সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। প্রস্তাবিত বিলে লাইসেন্স ছাড়া সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে গভীর সমুদ্রে মৎস্য আহরণের ক্ষেত্রে এই ধারার বিধান প্রযোজ্য হবে না। এছাড়া সমুদ্র যাত্রার অনুমতিপত্র ও আগমনী বার্তা, ধৃত মৎস্য সম্পর্কে তথ্য সরবরাহের দায়িত্ব, নৌ চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি না করাসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বিধানের প্রস্তাব করা হয়েছে। বিলে সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ এলাকা, নৌযানের শ্রেণি ও সংখ্যা নির্ধারণ, অবৈধ, অনুল্লিখিত এবং অ-নিয়ন্ত্রিত মৎস্য আহরণ নিয়ন্ত্রণ, মেরিকালচার এলাকা ঘোষণা, মৎস্য আহরণে বাধা-নিষেধ আরোপের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

সংসদে গাইলেন মমতাজ : রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে সংসদে স্বরচিত গান গেয়েছেন সরকারি দলের এমপি কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম। এসময় তার গান শুনে সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা টেবিল চাপড়িয়ে স্বাগত জানান তাকে।

এমনকি সংসদের সভাপতিত্বে থাকা ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়াও তাকে ধন্যবাদ জানান।

বক্তব্য শেষে মমতাজ বেগম বলেন, উন্নয়নের অনেক কথা বলার ছিল। বর্তমান সরকারের উন্নয়নের কথা আমরা, আমি ও শিল্পীরা এভাবেই বলি, আমি দেশ বিদেশে ঘুরে ঘুরে/ দেশ বিদেশে ঘুরে ঘুরে/ জয় বাংলার গান গাই /আমার নেত্রী  শেখ হাসিনা তুলনা যার নাই/ আমার নেত্রী শেখ হাসিনা তুলনা যার নাই/ আপনার আমার নেত্রী যিনি জাতির পিতার কন্যা তিনি/ আমরা সবাই তারে চিনি / যার তুলনা নাই/ আমার নেত্রী শেখ হাসিনা তুলনা যার নাই/ এই বিশ্ব যারে করে গণ্য/ তার কারণেই আমরা ধন্য/।

এরপর তিনি বলেন, আমাদের কোনো গুণ নাই মাননীয় স্পিকার। সব গুণের অধিকারী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। এরপর তিনি আবার সুর তুলে আবার গেয়ে ওঠেন, এই বিশ্ব যারে করে গণ্য/তার কারণে আমরা ধন্য /এমন একজন  নেত্রীর জন্য আমি দোয়া চাই/ সবার হাতে তালি চাই/ আমার নেত্রী শেখ হাসিনা তুলনা যার নাই। এসময় এমপিরা তাকে টেবিল চাপড়ে ধন্যবাদ জানান।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর