রাজধানীতে নিত্যপণ্যের বাজারে পিয়াজের দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে। মিয়ানমারের পিয়াজের সরবরাহ বাড়ায় সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে দাম কমেছে ৪০ টাকা পর্যন্ত। তবে এখনো চড়া দামেই সবজি বিক্রি হওয়ার তথ্য মিলেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কিছু সবজির দাম বেড়েছে। গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজার, নিউমার্কেট, রামপুরা, মালিবাগ হাজীপাড়া, খিলগাঁও এলাকার বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। এসব বাজারে গত সপ্তাহে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া পিয়াজের দাম কমে ১০০-১২০ টাকা হয়েছে। নিউমার্কেট কাঁচাবাজারের বিক্রেতা আফজাল হোসেন বলেন, শ্যামবাজারে পিয়াজের দাম কমায় আমরা কম দামে বিক্রি করছি। মিয়ানমারের পিয়াজের সরবরাহ বাড়ায় দাম কিছুটা কমেছে। এদিকে লাউ, করলা, টমেটো, শসা, শিম, শালগম, মুলা, গাজর, ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুনে বাজার ভরপুর থাকলেও দাম বেশ চড়া। গত সপ্তাহের মতো এখনো বাজারে দামি সবজির তালিকায় থাকা করলা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা। ১০০ টাকার সবজির তালিকায় আছে লাউ, বরবটি এবং কচুর লতি। বাজার ও আকার ভেদে লাউ বিক্রি হচ্ছে প্রতিটি ৬০-১০০ টাকায়। বরবটির কেজি ৮০-১০০ টাকা। গত সপ্তাহের মতো শসা বিক্রি হচ্ছে ৩০-৫০ টাকা কেজি। পেঁপে ৩০-৫০ টাকা, দেশি পাকা টমেটোর কেজি ৪০-৬০ টাকা। কাঁচা পেঁপে কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৫০ টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে দাম অপরিবর্তিত রয়েছে শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শালগম ও গাজরের। ভালোমানের শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা। ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকায়। একই দামে বিক্রি হচ্ছে বাঁধাকপি। গাজর বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা কেজি। সবজির চড়া বাজারে নতুন করে দাম বেড়েছে বেগুন, মুলা, কাঁচামরিচের। গত সপ্তাহে ২০-২৫ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া মুলার দাম বেড়ে ৩০-৩৫ টাকা হয়েছে। ৪০-৫০ টাকার বেগুন বেড়ে ৫০-৭০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচ ২৫০ গ্রাম বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৫-২০ টাকা। মালিবাগ বাজারের বিক্রেতা ফয়সাল খান বলেন, সবজির দাম কমার সম্ভাবনা নেই। দিন যত যাবে দাম তত বাড়বে। এ বাজারের ক্রেতা রায়হান রহমান বলেন, শীতের ভরা মৌসুমে সবজির এত দাম আগে দেখিনি। বাজারে কার্যকর তদারকি না থাকায় সবকিছুর দাম এমন চড়া। এদিকে রুই মাছ ২২০-৫০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তেলাপিয়া ১৩০-১৭০, শিং ৩০০-৪৫০, শোল মাছ ৪০০-৭৫০, পাবদা ৪০০-৫০০, টেংরা ৪৫০-৬০, নলা ১৮০-২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১২৫-১৩০ টাকা কেজি। পাকিস্তানি কক ২৩০-২৪০, লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকা কেজি। গরুর মাংস ৫৫০-৫৭০ এবং খাসির মাংস ৭০০-৮৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
শিরোনাম
- ধর্মের দোহাই দিয়ে টিকেট বিক্রি করে কাজ হবে না: তানিয়া রব
- জবিতেও ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে রবিবার
- সোনারগাঁয়ে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মান্নানের সম্প্রীতি সমাবেশ
- ভূমিকম্প: ঢাবিতে রবিবারের ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত
- নোয়াখালীতে প্রয়াত ১০৯ বিএনপি নেতাকর্মীর পরিবারকে ক্রেস্ট ও সংবর্ধনা
- তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিনির্মাণে ধানের শীষের বিকল্প নেই: দুলু
- ভূমিকম্পে নিহত শিশুর শেষ বিদায়ে পাশে থাকতে পারেননি বাবা-মা
- বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে নারীরা সুরক্ষিত থাকে: শামা ওবায়েদ
- নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?
- 'তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হলে প্রতিটি পরিবারের হাতে ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হবে'
- মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস
- বাগেরহাটে কবি হিমেল বরকতের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
- ঢাকায় ভূমিকম্পে নিহত বগুড়ার রাফিউলের দাফন সম্পন্ন
- ‘নির্বাচনকে নানাভাবে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা চলছে’
- বিমান বাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা
- বিক্রি হয়ে গেল দ্য টেলিগ্রাফ
- নারায়ণগঞ্জে বিএনপি প্রার্থীর উদ্যোগে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
- মিরসরাইয়ে বিজিবির অভিযানে ভারতীয় ৩১ গরু আটক
- শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড
- ভূমিকম্পে মেট্রোরেল স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি: ডিএমটিসিএল এমডি