বুধবার, ৮ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা
সংকট মোকাবিলা

আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনকে সাত সাংগঠনিক নির্দেশনা

করোনা আতঙ্ক

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনকে সাত সাংগঠনিক নির্দেশনা

করোনাভাইরাস সংকট মোকাবিলায় আওয়ামী লীগ ও সব সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের প্রতি সাতটি সাংগঠনিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে এই নির্দেশনা দেন। পাশাপাশি সচেতন জনগণের প্রতি নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। গতকাল বিকালে আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

নির্দেশনাগুলো হলো- ‘এক. আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের নেতা-কর্মীগণ ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি ও সতর্কতা মেনে চলে সারা দেশের জনগণের মধ্যে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ সম্পর্কিত গণসচেতনতা সৃষ্টি করবেন। করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সঠিক তথ্য প্রদান করে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য জনগণকে উদ্বুদ্ধ করবেন এবং জনসমাগম হতে পারে এমন কর্মসূচি পরিহার করবেন।’ ‘দুই. কভিড-১৯ টেস্ট কিট ব্যবহারের জন্য ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ও টেকনিক্যাল টিম কর্তৃক অনুমোদিত হতে হয়। একটি ষড়যন্ত্রকারী মহল দ্রুততম সময়ে করোনাভাইরাস টেস্ট করার কিট আবিষ্কৃত হয়েছে বলে গুজব ছড়িয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ ধরনের কিটে প্রাপ্ত ফলাফল শতভাগ সঠিক না হওয়ায় ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ও টেকনিক্যাল টিম সেটা অনুমোদন দেয়নি। এ ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্যের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকবেন এবং জনগণকে সচেতন করবেন। সরকার করোনাভাইরাস টেস্টের পরিসর বিভাগীয় সদর পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে। চিকিৎসাসেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে এবং চিকিৎসাসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসাসেবা প্রার্থীর মধ্যে সমন্বয়ের জন্য যথাসাধ্য সহযোগিতা করবেন।’ ‘তিন. করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের পাশাপাশি প্রশাসনিক নির্দেশনা প্রদান করেছে। এই ভাইরাস প্রতিরোধে এখন পর্যন্ত নির্দিষ্ট কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। জনস্বাস্থ্যের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার কথা চিন্তা করে নির্দিষ্ট সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে আমাদের পেশাদারি ও দায়িত্বশীল প্রশাসনের পাশাপাশি দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী মাঠে তৎপর রয়েছে। ব্যক্তিগত সুরক্ষার জন্য নিজেরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখবেন এবং সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে জনগণকে তা বজায় রাখতে উদ্বুদ্ধ করবেন। ‘চার. প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির অভিভাবক হিসেবে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় ৩১ দফা নির্দেশনা প্রদান করেছেন। করোনাভাইরাস সম্পর্কিত সচেতনতা কার্যক্রম বাস্তবায়ন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গ দেখা দিলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া, সারা দেশে পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিতকরণ ও তা আরও জোরদার করা, এগুলো মেনে চলবেন এবং জনগণকে মেনে চলার জন্য উদ্বুদ্ধ করবেন। পাঁচ. খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে খোলা বাজারে ওএমএস পদ্ধতিতে ১০ টাকা কেজি দরে চাল ও আটা বিক্রি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে সরকারি ভর্তুকি প্রদানের মাধ্যমে ট্রাকে করে সুলভমূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি বিক্রি এবং ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের অধীনে সব উপজেলাতে সুবিধাবঞ্চিতদের মধ্যে নগদ অর্থ সহায়তা ও শিশুখাদ্য প্রদান করা হচ্ছে। এসব কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবেন। ‘ছয়. প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ অনুযায়ী  ইউনিয়ন, ওয়ার্ড, গ্রাম ও শহর পর্যায়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তালিকা প্রস্তুতিতে প্রশাসনকে সহযোগিতা করবেন।’ ‘সাত. প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস সংকট মোকাবিলার জন্য নিরলসভাবে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করে চলেছেন। বাংলাদেশ তথা বিশ্ববাসীর এই ক্রান্তিলগ্নে সবাইকে ধৈর্য, সতর্কতা, দায়িত্বশীলতা, মানবিকতা ও দেশপ্রেমের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর