মঙ্গলবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা
বিএনপিকে তথ্যমন্ত্রী

মানুষ পুড়িয়ে হত্যার জন্য ক্ষমা চেয়ে লাল ব্যাজ ধারণ করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক

মানুষ পুড়িয়ে হত্যার জন্য ক্ষমা চেয়ে লাল ব্যাজ ধারণ করুন

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বিএনপির উদ্দেশে বলেছেন, ‘সীমান্ত হত্যার কথা বলে কালো ব্যাজ ধারণ পরিহার করে মানুষ পুড়িয়ে হত্যার জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে লাল ব্যাজ ধারণ করুন।’ গতকাল রাজধানীর জাতীয়

 প্রেস ক্লাবে আওয়ামী লীগের প্রয়াত দুই নেতা আবদুর রাজ্জাক ও মহিউদ্দিন চৌধুরীর স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সমসাময়িক বিষয় প্রসঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উপদেষ্টা লায়ন চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে এবং জোটের সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র অরুণ সরকার রানার সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, মহিউদ্দিনের ছেলে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, আবদুর রাজ্জাকের ছেলে নাহিম রাজ্জাক এমপি, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম, আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দার, সাংবাদিক সমীরণ রায় প্রমুখ।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি সীমান্ত হত্যা বন্ধের নামে কালো ব্যাজ ধারণ করার কথা বলছে। বিএনপিকে অনুরোধ জানাব, তারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন, তখন সীমান্ত হত্যা কোন পর্যায়ে ছিল আর এখন কোন পর্যায়ে আছে, সেই পরিসংখ্যানটা একটু খতিয়ে দেখার জন্য। তাদের আমল থেকে সীমান্ত হত্যা এখন অনেক কমিয়ে আনা হয়েছে, কমে এসেছে। এই সীমান্ত হত্যা যাতে একেবারেই শূন্যের কোঠায় নেমে আসে সে জন্য আমাদের সরকার চেষ্টা করছে।’

তিনি বলেন, ‘আমি বিএনপিকে অনুরোধ জানাব, আপনারা যে মানুষকে পেট্রোলবোমা মেরে, পুড়িয়ে হত্যা করেছেন আর আপনাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান নির্বিচারে সৈনিক হত্যা করেছেন, সে জন্য জনগণের কাছে করজোড়ে ক্ষমা চেয়ে লাল ব্যাজ ধারণ করবেন। কারণ আপনারা যেভাবে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছেন, রাজনৈতিক কারণে এভাবে পেট্রোলবোমা মেরে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা সমসাময়িক পৃথিবীতে কোথাও ঘটেনি।’

তথ্যমন্ত্রী এ সময় বিএনপি নেতা মেজর হাফিজের উক্তি উদ্ধৃত করে বলেন, ‘বিএনপির একজন ভাইস চেয়ারম্যান জনসম্মুখে বললেন, বিএনপিতে জেলা পর্যায়ে কমিটি করার সময় কমিটি বাণিজ্য হচ্ছে। যারা দলের কমিটি করার সময় বাণিজ্য করে, তারা যদি দেশের দায়িত্ব পায়, তাহলে দেশটাই তো তারা বাণিজ্যের জন্য বিক্রি করে দিতে পারে। এদের হাতে দলও নিরাপদ নয়, দেশও নিরাপদ নয়।’

বক্তব্যের শুরুতে প্রয়াত দুই নেতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আবদুর রাজ্জাক শুধু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তা নয়, পঁচাত্তরের পর আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করার ক্ষেত্রে তাঁর অবদান স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ থাকবে। একই সঙ্গে আমাদের শ্রদ্ধাভাজন কর্মীবান্ধব এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী ছিলেন চট্টগ্রামের গণমানুষের নেতা এবং চট্টগ্রামের নন্দিত মেয়র। এ দুজনই অনুকরণীয় নেতৃত্বের অসামান্য উদাহরণ।’

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর