আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচন বানচাল করার বিএনপির অপপ্রয়াস ভ-ুল করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বিকালে তাঁর সরকারি বাসভবনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনা মহামারীজনিত শঙ্কা কাটিয়ে ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল সন্তোষজনক। নির্বাচন বানচালে বিএনপির অপপ্রয়াস ভন্ডুল করে চসিক নির্বাচন মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি সমর্থিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী কর্তৃক ইভিএম মেশিন ভাঙা ও কেন্দ্র দখলসহ সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মাধ্যমে সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছে বিএনপি, যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হয়েছে। তিনি বলেন, বরাবরের মতো বিএনপি ভোটের মাঠে অংশগ্রহণ না করে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করার পরিস্থিতি সৃষ্টি করে তার দায়ভার আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, এই নির্বাচনে প্রথম থেকেই বিএনপির প্রার্থীসহ নেতা-কর্মীরা নির্বাচনী মাঠে যে ধরনের সুযোগ-সুবিধা পেয়েছেন তা তাদের আমলেও পাননি। তিনি বলেন, বিএনপি ৭৩৫টি কেন্দ্রের সবগুলোতে এজেন্ট দিতেই ব্যর্থ হয়েছে। তাদের সেই সাংগঠনিক ক্ষমতাই নেই। তারা তাদের দুর্বলতা ঢাকতে ও গণরায়কে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মহানগরীর জনগণ কখনই বিএনপির পক্ষে সমর্থন দেয়নি। এমনকি বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখনো আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।
ওবায়দুল কাদের স্মরণ করে দিয়ে বলেন, শুধু একবার বিএনপি প্রার্থী হিসেবে মনজুর আলম নির্বাচিত হলেও মূলত রাজনৈতিকভাবে তিনি আওয়ামী মতাদর্শের মানুষ ছিলেন। বিএনপি ভোটের রাজনীতিতে জেতার জন্য আওয়ামী লীগ থেকে মনজুর আলমকে প্রার্থী করেছিল।
মোটামুটি অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ওবায়দুল কাদের নির্বাচন কমিশন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সব ভোটার, জনসাধারণ ও নির্বাচনসংশ্লিষ্ট সবাইকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
