চট্টগ্রামে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, অন্তঃকোন্দল কিংবা ঠুনকো ঘটনায় রক্তক্ষয়ী সংঘাতে জড়িয়ে পড়ছে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা। এতে করে প্রায় ঘটছে খুন। ফলে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ হচ্ছে লাশের সারি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও অপরাধ বিজ্ঞানী ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘বর্তমান আওয়ামী লীগে হাইব্রিটরাই প্রভাবশালী। আওয়ামী লীগের চেয়ে ‘ভাইলীগ’ প্রাধান্য পাচ্ছে। ফলে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে নিজেরাই সংঘাতে জড়িয়ে পড়ছে। এখনই সংঘাতের রাশ টানতে হবে। না হলে কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে আওয়ামী লীগকে।’ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটান পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (জনসংযোগ) শাহ মো. আবদুর রউফ বলেন, ‘রাজনৈতিক বিবেচনা না করে প্রত্যেকটা খুনকে সমান চোখে দেখা হয়। সম্প্রতি যতগুলো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্ট খুন হয়েছে এর মধ্যে প্রায় সব মামলার আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অনেক মামলার আবার চাজর্শিটও দেওয়া হয়েছে।’ জানা যায়, চট্টগ্রাম জেলা ও নগরীতে সহিংস হয়ে উঠেছে আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন যুবলীগ ও ছাত্রলীগ। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, চাঁদবাজি, দখলবাজি, কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ, কথা কাটাকাটি কিংবা ঠুনকো ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘটছে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া। এলাকার সাধারণ ঘটনাগুলোই পরিণত হচ্ছে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে। এতে জেলা ও নগরীতে প্রায় হচ্ছে খুনের মতো ঘটনা। ১৯ ফেব্রুয়ারি রাতে আনোয়ারা উপজেলা সদরে ছাত্রলীগের এক গ্রুপের ছুরিকাঘাতে খুন হন আশরাফ উদ্দিন চৌধুরী নামে আরেক ছাত্রলীগ নেতা। ২৭ জানুয়ারি নগরীর পাহাড়তলী এলাকায় বড় ভাই সালাউদ্দিন কামরুলের হাতে খুন হন ছোট ভাই নিজাম উদ্দিন মুন্না। তারা দুজনই স্থানীয় যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। ১২ জানুয়ারি নির্বাচনী প্রচারণায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে আজগর আলী বাবুল নামে আওয়ামী লীগ কর্মী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনার জন্য স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল কাদের অনুসারীদের দায়ী করা হচ্ছে। গত ১৩ জানুয়ারি আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে খুন হন সাইফুল ইসলাম নামে এক ছাত্রলীগ কর্মী। ৮ জানুয়ারি মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করায় যুবলীগের নেতাদের ছুরিকাঘাতে আহত হন আশিকুর রহমান রোহিত নামে এক ছাত্রলীগ কর্মী। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রোহিত। ১৩ নভেম্বর সাতকানিয়ায় কথা কাটাকাটির জের ধরে রাজনৈতিক সহযোদ্ধার হাতে খুন হন ছাত্রলীগ কর্মী সাবিদুল ইসলাম সাজ্জাদ। ১৩ নভেম্বর নগরীর আগ্রাবাদে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে যুবলীগ নেতা মারুফ চৌধুরী মিন্টু। এ খুনের পেছনে স্থানীয় যুবলীগ নেতা মোস্তাফা কামাল টিপু ও তার অনুসারীদের দায়ী করছেন নিহতের পরিবার।
শিরোনাম
- আমার ছেলের খুনীর ফাঁসি যেন দেখে যেতে পারি: আবু সাঈদের বাবা
- দিল্লি বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫, গ্রেফতার আরও এক কাশ্মীরি
- মালয়েশিয়ায় শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন সাইবারজায়া ইউনিভার্সিটি
- আফ্রিকার ছয় দেশে আছে রুশ সেনার উপস্থিতি: রাষ্ট্রীয় টিভি
- ‘খালেদা জিয়াকে দেশের সেরা জয় উপহার দিতে চাই’
- উইঘুর যোদ্ধাদের চীনের কাছে হস্তান্তর করবে সিরিয়া
- ‘একটি দল ক্ষমতায় যেতে প্রলাপ বকছে’
- সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় পাশে থাকবে চীন
- বগুড়ায় কোলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে জরাজীর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান
- শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত
- মোংলায় জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ বিষয়ক সমন্বয় সভা
- আকাশ প্রতিরক্ষা ও যুদ্ধবিমান চুক্তি চূড়ান্ত করতে ফ্রান্সে জেলেনস্কি
- অস্ট্রেলিয়ায় বিএনপির জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন
- ভারতের চা, মশলা, আমসহ কয়েকটি পণ্যে শুল্ক প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প
- নওগাঁর মান্দায় ধানের শীষে ডা. টিপুর নির্বাচনী পথসভা
- পাঙ্গাস পোনা শিকারের দায়ে জেলের কারাদণ্ড
- পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন কারাগারে
- রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক
- নির্বাচনের আগেই হাসিনাকে দেশে এনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দাবি সারজিসের
- কলাপাড়ায় অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে ৫ জন হাসপাতালে