শুক্রবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

টান টান উত্তেজনায় খুলনায় বিএনপির সমাবেশ কাল

২০ নেতা-কর্মী গ্রেফতার সংবাদ সম্মেলনে নিন্দা

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

কেসিসি বা মেট্রোপলিটন পুলিশ থেকে এখনো খুলনায় বিএনপির সমাবেশস্থলের অনুমতি দেওয়া হয়নি। তারপরও খুলনা থানার পাশে নগরীর মহারাজ চত্বরকে সমাবেশের সম্ভাব্য স্থান উল্লেখ করে লিফলেট বিতরণ ও প্রচারণা শুরু করেছে বিএনপি। দেশে অবাধ সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবিতে আগামীকাল ২৭ ফেব্রুয়ারি দুপুরে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এতে বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, শামসুজ্জামান দুদু, অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ ছয় সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থীরা উপস্থিত থাকবেন। খুলনা মহানগর বিএনপি সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, দুই দফায় সমাবেশের অনুমতি চেয়ে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ও ২৩ ফেব্রুয়ারি পুলিশকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সিটি মেয়রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তবে এখনো এ বিষয়ে অনুমতি পাওয়া যায়নি। এদিকে সমাবেশস্থল নিয়ে আলোচনার মধ্যেই পুলিশ হঠাৎ করে গ্রেফতার অভিযান শুরু করেছে। তারা বিভিন্ন স্থান থেকে ২০-২২ জন বিএনপি নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে খুলনা থানায় এনে জড়ো করেছে। রাতের বেলায় বাড়িতে বাড়িতে অভিযান চালিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে।

এটা মানবাধিকার লঙ্ঘন। নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, খুলনায় যদি ৫ হাজার নেতা-কর্মীও গ্রেফতার হয়, তারপরও সমাবেশ হবে। গতকাল দলীয় কার্যালয়ে ‘সমাবেশের সর্বশেষ অবস্থা’ জানিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি গ্রেফতার হওয়া সব নেতা-কর্মীকে মুক্তি ও পুলিশকে এই আচরণের জন্য ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান।

জানা যায়, ২৪ ফেব্রুয়ারি দুপুর থেকে মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, খানজাহান আলী থানা যুবদল নেতা মাসুম খান, ১৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মোল্লা জাকির হোসেন, মহানগর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি শামিম আশরাফ, ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবদল সভাপতি হায়দার আলী লাবুসহ ২০ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের ২০২০ সালের ৩ মার্চ দলীয় কার্যালয়ের সামনে মারামারির মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

খুলনা সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক শাহনেওয়াজ জানান, ২০২০ সালে মারামারির ওই ঘটনায় আরিফা ইয়াসমীন নামের ভুক্তভোগী একজন মামলা করেন। তার স্বামীকে বিএনপি অফিসের সামনে মারধর করা হয়েছিল। গতকাল দুপুরে গ্রেফতারকৃত নেতা-কর্মীদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। 

মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মণি বলেন, হাদিস পার্কে সমাবেশের অনুমতি না দেওয়ায় বিকল্প হিসেবে মহারাজ চত্বরে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। শনিবার সরকারি ছুটির দিন থাকায় এবং চারপাশে চলাচলের আরও রাস্তা থাকায় এখানে সমাবেশের অনুমতি পাওয়া যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া বিএনপি সমাবেশের জন্য শিববাড়ি বাবরি চত্বর বা সোনালী ব্যাংক চত্বরকেও প্রস্তাবনায় রেখেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর