বৃহস্পতিবার, ২২ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা
টু ক রো খ ব র

খালেদা জিয়ার সঙ্গে বাবুনগরীর দেখা হয়নি : হেফাজত

নিজস্ব প্রতিবেদক

২০১৩ সালের ৫ মে ঘটনার এক সপ্তাহ আগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর যে গোপন বৈঠকের সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, তার প্রতিবাদ জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এই সংবাদকে ‘মিথ্যাচার’ বলে উল্লেখ করেছে সংগঠনটি। গতকাল এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির হাফেজ মাওলানা তাজুল ইসলামের (পীর সাহেব ফিরোজশাহ) পক্ষে প্রতিবাদলিপি পাঠানো হয়। মাওলানা তাজুল ইসলাম বলেন, হেফাজতের শীর্ষ নেতৃত্বকে কলঙ্কিত করতে মুফতি ফখরুল ইসলামের কাছ থেকে পুলিশ মিথ্যা স্বীকারোক্তি আদায় করেছে। এই স্বীকারোক্তি একজন সর্বজনশ্রদ্ধেয় শীর্ষ আলেমের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছু নয়। দেশবাসী এমন মিথ্যা স্বীকারোক্তি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।

তিনি বলেন, ‘হেফাজত আমিরের কাছ থেকে আমি জেনেছি, খালেদা জিয়ার সঙ্গে বাবুনগরীর কোনো দিন সামনাসামনি দেখা হয়নি। অথচ মঈনুদ্দীন রুহি ও ফখরুল ইসলাম এ বিষয়ে মিথ্যাচার করেছেন। তারা এই দাবির সপক্ষে কোনো প্রমাণ হাজির করতে পারবেন না।’ মাওলানা তাজুল ইসলাম বলেন, রমজান মাসে আলেম-ওলামার ওপর পুরনো মিথ্যা মামলা সচল করে দমন-পীড়ন চালানো হচ্ছে। গুটিকয় নীতি-আদর্শচ্যুত সাবেক নেতাকে এতে দাবার ঘুঁটি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। অথচ ২০১৩ সাল বেশি দিন আগের ঘটনা নয়। এখনো ইন্টারনেটে সার্চ দিলে সহজেই জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত তখনকার সংবাদে খুঁজে পাওয়া যাবে, সে সময় কোন নেতার কী ভূমিকা ছিল।

প্রতিবাদলিপিতে সরকার ও প্রশাসনের প্রতি আলেম-ওলামাদের ওপর দমন-পীড়ন, মিথ্যা মামলা এবং অপবাদ বন্ধের দাবি জানান মাওলানা তাজুল ইসলাম। হেফাজতের তৎকালীন ঢাকা মহানগর প্রচার সম্পাদক মুফতি ফখরুল ইসলামের আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির বরাতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয় যে, ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলাম অবরোধ কর্মসূচি পালন করতে যাওয়ার ঠিক এক সপ্তাহ আগে খালেদা জিয়ার সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছিলেন হেফাজতের তৎকালীন মহাসচিব ও বর্তমান আমির জুনায়েদ বাবুনগরী। এ ছাড়া ৫ মের সেই সহিংসতায় তৎকালীন বিএনপি ও জাময়াতের একাধিক শীর্ষস্থানীয় নেতা অর্থ সহায়তা দিয়েছিলেন। সহিংসতায় অংশ নিয়েছিলেন বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরাও।

সর্বশেষ খবর