বুধবার, ১৬ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

বন্ধ ক্যাম্পাসে সবুজের সমারোহ

রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর

বন্ধ ক্যাম্পাসে সবুজের সমারোহ

করোনার কারণে দীর্ঘ দেড় বছর ধরে দিনাজপুর সরকারি কলেজ বন্ধ, কোলাহল মুক্ত পরিবেশে প্রকৃতি সেজেছে নতুন সাজে। চারদিকে সবুজের সমারোহ। ঘাসে ঘাসে সাদা ফুলসহ নানা ফুলে ভরে আছে কলেজ প্রাঙ্গণ ও মাঠ। সবুজ পাতায় ভরে গেছে গাছ। বাধা বিঘ্ন ছাড়াই রোদ-বৃষ্টিতে বেড়ে উঠেছে নানা জাতের গাছ। এইচএসসির প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মাহী, রাফিসহ কয়েকজন জানায়, কলেজ ক্যাম্পাস ছাড়া নিজেদের মাঝে মাঝে ছাত্রই মনে হচ্ছে না। এক বছর হলো ভর্তি হয়েছি, এখনো ভালোভাবে নিজের কলেজ ক্যাম্পাস দেখিনি। ক্যাম্পাস ছাড়া আছি। নির্দিষ্ট করে বললে, ঘরের মধ্যেই আছি। একঘেয়েমি চলে আসাটা স্বভাবিক। ক্রমেই দৈনন্দিন গতিময়তা হারিয়ে জীবনে অনুপ্রবেশ করছে মন্থরতা। চলে আসছে হতাশা। দিনগুলো অনেকটা নিষ্ফলভাবে কেটে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন ঘরবন্দী থাকার ফলে ক্যাম্পাসের প্রতি মায়াটা যেন আরও গভীরভাবে অনুভব করছি। আবার, এই সময়ে বাস্তবতার প্রতিকূলে যাওয়াও প্রায় অসম্ভব। ফলে, অনিচ্ছা সত্ত্বেও পরিস্থিতির শিকার হয়ে ফেরা হচ্ছে না প্রিয় ক্যাম্পাসে। মোসাদ্দেকসহ কয়েকজন মাস্টার্স শিক্ষার্থী জানায়, ক্যাম্পাস প্রতিটি শিক্ষার্থীর আবেগ ও ভালোবাসার জায়গা।

প্রতিটি শিক্ষার্থীর জীবনে সবচেয়ে বেশি আনন্দময় মুহূর্ত হলো ক্যাম্পাসে কাটানো মুহূর্তগুলো। তারা প্রতিনিয়ত চিরচেনা ক্যাম্পাসকে মিস করছে। মিস করছে ক্যাম্পাসে চায়ের কাপে আড্ডা, তর্ক-বিতর্ক, উচ্চৈঃস্বরে গান গাওয়ার কথা। হুট করে এক বন্ধুর সঙ্গে ঝগড়ায় মেতে ওঠা ও একসঙ্গে ক্রিকেট খেলা। গভীর রাতে নিস্তব্ধ শহর দেখা। এখন আর কিছুই হচ্ছে না। করোনায় জীবনকে সংকীর্ণ করে ফেলেছে। এর মধ্যেও ফিরে যেতে চাই প্রিয় ক্যাম্পাসে। আগের মতো গাইতে চাই গান, হাসতে চাই প্রাণ খুলে। এই ভেবেই প্রকৃতির মাঝে সময় কাটাতে চাই।

তারা আরও অভিব্যক্তি প্রকাশ করে বলেন, অভিশপ্ত সেশন জটের কবলে হয়তো পড়ে যাচ্ছি। দিন দিন বাড়ছে হতাশা। শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা, দ্রুত সময়ে উত্তরণ ঘটুক পরিস্থিতির। শিক্ষার্থীদের আনাগোনায় মুখরিত হোক ক্যাম্পাস। প্রাণ ফিরে পাক প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যদিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া সবকিছু আগের মতো চলছে।

দিনাজপুর সরকারি কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন জানান, কোলাহলমুক্ত শিক্ষার্থীবিহীন ক্যাম্পাসে প্রকৃতি নতুন সাজে সেজেছে। এ ছাড়াও এরই মধ্যে কিছু গাছও রোপণ করা হয়েছে। আমরাও চাই দ্রুত করোনার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে ফের শিক্ষার্থীদের আনাগোনায় ক্যাম্পাস মুখরিত হউক।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর