রাজধানীর গুলশান লেকে নৌকাডুবিতে নিখোঁজের প্রায় ১৩ ঘণ্টা পর লেকের পানিতে ভেসে উঠল সেলিনা আক্তার নামে এক তরুণীর লাশ। গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে ওই তরুণীর লাশ ভেসে ওঠে। এর আগে, বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে যাত্রীবাহী নৌকাটি গুলশান লেকে ডুবে যায়। ওই নৌকার যাত্রী ছিলেন সেলিনাসহ ১৪ জন। নৌকার মাঝিসহ সবাই সাঁতরে উঠতে পারলেও সেলিনা পানিতে ডুবে যান। এরপর ট্রিপল নাইনে (৯৯৯) খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নিখোঁজ সেলিনাকে উদ্ধারের চেষ্টায় লেকের পানিতে তল্লাশি চালায়। কিন্তু সন্ধ্যা পর্যন্ত সেলিনার সন্ধান না পেয়ে উদ্ধার কাজ স্থগিত রাখে। সেলিনা বনানীর একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্মী ছিলেন। সকালে তিনি কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। তার বাবার নাম বাবুল মিয়া।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কড়াইল বস্তির পূর্ব পাশের ঘাট থেকে বৃহস্পতিবার ১৪ জন যাত্রী নিয়ে নৌকাটি গুলশান-১ ও ২ এর মাঝামাঝি ৩৩ নম্বর রোডের ঘাটে যাচ্ছিল। লেকের মাঝামাঝি নৌকাটি ডুবে যায়। নৌকাটি ডুবে যাওয়ার সময় মাঝিসহ বাকিরা সাঁতরে পাড়ে উঠলেও সেলিনা উঠতে পারেননি। সেলিনা কড়াইল বস্তিতে থাকতেন।
মৃত সেলিনার স্বামী হাফিজুর রহমান বনানী থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছেন বলে জানান বনানী থানার এসআই আফজাল হোসেন। তিনি বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে ওই ঘাটে ছোট নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে লেক পারাপারে বাধা দেওয়া হতো। কিন্তু তারা পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে নৌকায় যাত্রী তুলতো। আজ (গতকাল) থেকে ওই লেকে সব নৌচলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
