বুধবার, ২০ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

নারায়ণগঞ্জে ট্রাকচাপায় সাংবাদিক নিহত, সহকর্মীদের ক্ষোভ

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় শাহ সিমেন্ট কোম্পানির ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে শফিকুল ইসলাম জনি নামে এক সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। সোমবার রাত সাড়ে ১০টায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরনো সড়কে ফতুল্লার পঞ্চবটি কলোনির সামনে ট্রাক তাকে চাপা দেয়। দ্রুত তাকে রাজধানী ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৩টায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। নিহত সাংবাদিক জনি ফতুল্লার ইসদাইর গাবতলী খানকা এলাকার আমির হোসেনের ছেলে। তার স্ত্রী ও ২ বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। জনি ফতুল্লা মডেল প্রেস ক্লাবের সদস্য, চ্যানেল এস টিভির ফতুল্লা প্রতিনিধি ও নারায়ণগঞ্জের আলো নামে একটি স্থানীয় পত্রিকার ফটোসাংবাদিক ছিলেন। এ ছাড়া তিনি ফটো নারায়ণগঞ্জ অনলাইন পোর্টালেরও সম্পাদনা করতেন। গতকাল  বেলা ১১টায় স্থানীয় মসজিদে জানাজা শেষে মাসদাইর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মোটরসাইকেলযোগে সাংবাদিক জনি ফতুল্লা থেকে চাষাঢ়ার দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় বেপরোয়া গতির শাহ সিমেন্টের একটি ট্রাক মোটরসাইকেলসহ জনিকে চাপা দিয়ে চলে যায়। এ সময় আশপাশের লোকজন এসে জনিকে উদ্ধার করে প্রথমে শহরের জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক জানান, জনি কোমরে মারাত্মক আঘাত পেয়েছেন।  ট্রাকের চাকা তার কোমরের ওপর দিয়ে গেছে। তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে গেলে সেখান থেকে চিকিৎসকরা তাকে পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরে তাকে পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম জানান, শাহ সিমেন্টের ট্রাকচালকরা দুর্ঘটনা ঘটান না। তারা পথচারীদের ট্রাকচাপা দিয়ে হত্যা করে আনন্দ পান। এ পর্যন্ত ফতুল্লায় অসংখ্য নারী-পুরুষ ও শিশু হত্যা করেছেন তারা। সিমেন্ট কোম্পানির ট্রাকগুলোতে অতিরিক্ত সিমেন্ট বোঝাই করার কারণে সরকারের কোটি টাকা ব্যয়ের সড়কে তারা বড় বড় গর্ত করে ফেলে। সড়ক সংস্কারের এক মাসও জনসাধারণ শান্তিতে চলাচল করতে পারে না। তিনি বলেন, সাংবাদিক জনি হত্যার প্রতিবাদে আজ বেলা ১১টায় ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। একই সঙ্গে শাহ সিমেন্টের বেপরোয়া গতির ট্রাক বন্ধে প্রশাসনের কাছে দাবি জানাব।

ফতুল্লা মডেল থানার ওসি রকিবুজ্জামান জানান, এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর