এ সময়ের গল্প এবং তথ্যপ্রযুক্তির নানা ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক কেন্দ্র করে নাটকের দল আরণ্যক মঞ্চায়ন করল দলটির নিয়মিত প্রযোজনার নাটক ‘কহে ফেসবুক’। গত সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে মঞ্চায়ন হয় নাটকটি। প্রযুক্তিনির্ভরতার এ যুগে মানুষের আঁতুড়ঘর থেকে কবরস্থান পর্যন্ত সর্বত্রই দখল করে নিয়েছে ইন্টারনেট। ইন্টারনেট মানুষকে দিয়েছে বেগ, কেড়ে নিয়েছে আবেগ। এ বেগময় অন্তর্জালীয় যোগাযোগব্যবস্থার বিশাল সমুদ্রে ‘ফেসবুক’ একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। আমাদের এ দৃশ্যমান জগতের অন্তরালে ফেসবুক তৈরি করেছে এক অদৃশ্য জগৎ যা ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ড নামে পরিচিত। এর ব্যাপ্তি এবং ঘাত এতটাই তীব্র যে এর প্রভাব পরিবার, সমাজ সর্বোপরি মানবিক জীবন থেকে আবেগ, অনুভূতি ও ভালোবাসা বিলুপ্ত করে মানুষকে পরিণত করেছে জৈবিক রোবটে। ইন্টারনেট এবং সোশ্যাল মিডিয়া নির্ভর করপোরেট জগতের প্রতিটি মানুষ ও তাদের যাপিত জীবন তার চাক্ষুষ উদাহরণ। অতিসহজে ও স্বল্প সময়ে সেখানে সবকিছু পাওয়া গেলেও একটি বিষয়ের অভাব, তা হলো স্পর্শ। মানুষের চিরদিনের চাওয়া তো একটাই- ছোঁয়া, স্পর্শ। তেমনই এক স্পর্শহীন জীবনের গল্প নিয়েই বিন্যস্ত হয়েছে নাটকটির কাহিনি। মামুনুর রশীদের রচনা ও নির্দেশনায় বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন- কামরুল হাসান, আরিফ হোসেন আপেল, রেজওয়ান পারভেজ, ডেভোরা সিলভিয়া কুইয়া, সাবিকুন্নাহার কাঁকন, সাজ্জাদ সাজু, প্রিন্স জন ও মো. রুহুল আমিন প্রমুখ।