সোমবার, ১৪ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা

বিরোধ নিরসনে কৌশলী খুলনা বিএনপি

পূর্ণাঙ্গ নগর কমিটিতে পদ-পদবির প্রস্তাব, সাড়া দেয়নি মঞ্জু সমর্থকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

খুলনায় অভ্যন্তরীণ বিরোধ নিরসনে কৌশলী অবস্থান নিয়েছে নগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি। ১২ মার্চ আহ্বায়ক কমিটির প্রথম সভায় তারা ঐক্যবদ্ধভাবে নগর বিএনপি পরিচালনার শপথ নেন। বিভিন্ন কারণে যারা কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন না সক্রিয় হলে তাদের সম্মেলনের মাধ্যমে পদপদবি দেওয়ার প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। তবে, একইদিন নগরীর খালিশপুরে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিলের নামে আলাদা কর্মসূচি পালন করেন মহানগরের পাঁচ থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা। তারা দলের বিদায়ী নগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জুর সমর্থক বলে পরিচিতি। যে কোনো অবস্থায় পুরনো ত্যাগী নেতারা ঐক্যবদ্ধ থাকার বিষয়ে ঘোষণা দিয়েছেন। জানা যায়, খুলনা বিএনপিতে নেতৃত্বে বিভেদ পুরনো। সর্বশেষ ২০২১ সালের ৯ ডিসেম্বর মহানগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জুসহ কমিটির শীর্ষ সব নেতাদের বাদ দিয়ে নগর আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এরপরই খুলনা নগর বিএনপিতে বিভক্তি চরমে পৌঁছে। নগর ও থানা কমিটি নেতাদের একটি বড় অংশ পদত্যাগ করে রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় রয়েছেন। তবে দায়িত্ব পাওয়ার পরই মাঠে নেমেছেন আহ্বায়ক কমিটির নেতারা। নগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা বলেন, পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটির প্রথম সভায় নগরীর ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ে কমিটি গঠন করার বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত হয়েছে। তৃণমূল থেকে দল ঢেলে সাজানো হবে। তিনি বলেন, বিরোধ নিরসনে ঐক্যের ডাক দেওয়া হয়েছে। তারা (মঞ্জু সমর্থকরা) যদি এসে একসঙ্গে কাজ করতে চান তবে তাদের স্বাগত জানানো হবে। আহ্বায়ক কমিটির মেয়াদ তিন থেকে চার মাস। ইতোমধ্যেই সম্মেলন করে কাউন্সিলের মাধ্যমে বিগত কমিটিতে যারা ছিলেন তারাও নির্বাচিত হলে পদে রাখা হবে।  এ ধরনের কোনো প্রস্তাবনা সরাসরি পাননি বলে জানালেন সাবেক নগর কমিটির সিনিয়র নেতারা। বিলুপ্ত নগর কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম জানান, ‘আমরা এখনো আমাদের দাবিতে অটল। নগর বিএনপিতে যারা দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছি তারা অবশ্যই সময়ের পরীক্ষায় উপযুক্ত। তাদের বাদ দিয়ে কম যোগ্যতার লোকদের দায়িত্ব দিয়ে বিভক্তি তৈরি করা হয়েছে।’ বিলুপ্ত সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম আসাদুজ্জামান মুরাদ বলেন, আহ্বায়ক কমিটির কোনো প্রস্তাবনা আমাদের দেওয়া হয়নি। আমরা ত্যাগী নেতারা এখনো আগের মতোই একত্রিত আছি। তিনি বলেন, খালিশপুরে আলাদা কর্মসূচি নয়, চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং নজরুল ইসলাম মঞ্জুসহ সিনিয়র নেতাদের শারীরিক সুস্থতা কামনায় আমরা দোয়া মাহফিল করেছি। সেখানেও অসংখ্য ত্যাগী নেতা-কর্মী ভিড় করেছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর