পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার ইজিএস শিক্ষা নিকেতনের প্রধান শিক্ষক তানভির আহমেদ নাজমুস সাকিবের বিরুদ্ধে জাল সনদে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ২০১৮ সালের এপ্রিলে চাকরিতে নিয়োগ পান তিনি। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদফতরে দফায় দফায় অভিযোগ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রাক্তন সভাপতি ও জমিদাতা এস এম আবুল কালাম আজাদ। অভিযোগ থেকে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক হিসেবে চাকরি পেতে আবেদনপত্রও অসম্পূর্ণ ছিল তানভির আহমেদ নাজমুস সাকিবের। আবেদনের সময় জাল বিএড সনদ দাখিল করেছেন তিনি। তার বিএড পাসের সার্টিফিকেট ছিল আমেরিকা-বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের। এ সার্টিফিকেটটি ভুয়া বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম চলমান নেই। প্রধান শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তুলে ২০১৮ সালের এপ্রিলে মাউশি অধিদফতরে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন স্কুলের শুভাকাক্সক্ষীরা।
অভিযোগকারী এস এম আবুল কালাম আজাদ এ প্রতিবেদককে বলেন, জাল সনদধারী ওই শিক্ষকের এমপিও বাতিলসহ অবিলম্বে স্থায়ী বরখাস্তের দাবি জানাই। অভিযুক্ত শিক্ষককে প্রহসনমূলক পরীক্ষার মাধ্যমের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তার আবেদনপত্রও ছিল অসম্পূর্ণ। বাছাই কমিটি ও নিয়োগ কমিটি আর্থিকভাবে লাভবান হয়ে জাল সার্টিফিকেটধারী এই ব্যক্তিকে নিয়োগ দিয়েছিল।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক তানভির আহমেদ নাজমুস সাকিব গতকাল প্রতিবেদককে বলেন, আমেরিকা-বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে করা বিএড সনদ নিয়ে অভিযোগ আসার পর গভর্নিং বডির সিদ্ধান্তে ২০২০ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফের বিএড করেছি। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগকারী এস এম আবুল কালাম আজাদ নিজেকে প্রতিষ্ঠানের জমিদাতা বলে দাবি করলেও এমন কোনো রেকর্ড বা দলিল আমি প্রতিষ্ঠানে পাইনি।