শুক্রবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

পুনঃ তফসিলকৃত ঋণে ২% অতিরিক্ত প্রভিশন

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুনঃ তফসিলি বা এককালীন এক্সিট সুবিধাপ্রাপ্ত ঋণের বিপরীতে আরোপিত সুদ নগদ আদায় না হলে আয় খাতে স্থানান্তর করা যাবে না। তবে আদায়-ঝুঁকি বিশ্লেষণ করে ২০২২ সালের আরোপিত সুদ আয় খাতে দেখানো যাবে। একই সঙ্গে সুবিধাপ্রাপ্ত ঋণের বিপরীতে অতিরিক্ত ২ শতাংশ জেনারেল প্রভিশন (ঋণের বিপরীতে নিরাপত্তা সঞ্চিতি) সংরক্ষণ করতে হবে। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংক এক সার্কুলারে ঋণ শ্রেণিকরণ বিষয়ে আগে জারি করা সার্কুলারের সুবিধাপ্রাপ্ত আরোপিত সুদ আয় খাতে স্থানান্তরকরণ এবং ওই ঋণের বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণের নির্দেশনা দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ঋণ শ্রেণিকরণ সুবিধার প্রাপ্ত ঋণের সম্ভাব্য আদায়-ঝুঁকি বিশ্লেষণপূর্বক ২০২২ সালের আরোপিত সুদ বিদ্যমান বিধান অনুযায়ী আয় খাতে স্থানান্তর করা যাবে। তবে পুনঃ তফসিল ও এককালীন এক্সিট সুবিধাপ্রাপ্ত ঋণের বিপরীতে আরোপিত সুদ নগদ আদায় ছাড়া আয় খাতে স্থানান্তর করা যাবে না। সুবিধাপ্রাপ্ত ঋণের বিপরীতে অতিরিক্ত ২ শতাংশ জেনারেল প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে। তবে সিএমএসএমই খাতের সুবিধাপ্রাপ্ত ঋণের বিপরীতে অতিরিক্ত ১ শতাংশ প্রভিশন    সংরক্ষণ করা যাবে। সুবিধাপ্রাপ্ত কোনো ঋণ নগদ আদায়ের মাধ্যমে সম্পূর্ণভাবে পরিশোধিত হলে সংরক্ষিত অতিরিক্ত জেনারেল প্রভিশন ব্যাংকের নিজস্ব বিবেচনায় আয় খাতে স্থানান্তর করা যাবে।

ঋণ-সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্যাদি (ঋণগ্রহীতার নাম, ঋণ স্থিতি, ধার্যকৃত সুদ, আয় খাত ও ইন্টারেস্ট সাসপেন্স হিসেবে স্থানান্তরিত সুদ, অতিরিক্ত প্রভিশনের পরিমাণ ইত্যাদি) সংশ্লিষ্ট শাখায় এবং প্রধান কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টে সংরক্ষণ করতে হবে।

ইসলামী শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলো একই নীতিমালা অনুসরণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর