শুক্রবার, ৬ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

অটোমোবাইল শিল্পে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডভ্যালু বাড়ছে : হাফিজুর রহমান খান

নিজস্ব প্রতিবেদক

অটোমোবাইল শিল্পে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডভ্যালু বাড়ছে : হাফিজুর রহমান খান

অটোমোবাইল শিল্পে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডভ্যালু বাড়ছে বলে জানিয়েছেন রানার অটোমাবাইল পিএলসির চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান। তিনি বলেন, গাড়ি নির্মাণের বিষয়ে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা যখন আমাদের সঙ্গে কথা বলেন, তখন তারা বাংলাদেশকে চীন ও ভারতের মতোই মূল্যায়ন করেন। তাদের আগ্রহ দেখে আমাদের মনে হয়, অটোমাবাইল শিল্পে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’-এর ব্র্যান্ড ভ্যালু তৈরি হচ্ছে। রাষ্ট্রপতি শিল্প-উন্নয়ন পুরস্কার পাওয়ার পর গতকাল তেজগাঁও শিল্প এলাকায় রানার গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে একান্ত আলাপাচারিতায় এসব কথা বলেন হাফিজুর রহমান খান। দেশীয় ব্র্যান্ড হিসেবে অটোমোবাইল শিল্পে অবদান রাখার জন্য রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার-২০০০ অর্জন করে রানার অটোমোবাইলস পিএলসি। বুধবার ওসমানী মিলনায়তনে শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন এমপির কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন রানার অটোমোবাইলস পিএলসির চেয়ারম্যান। পরদিন সাংবাদিকদের সঙ্গে এ বিষয়ে তিনি মতবিনিময় করেন। রানার গ্রুপের চেয়ারম্যান জানান, অটোমাবাইল শিল্পে উন্নতির জন্য মোটরসাইকেলের পর থ্রি-হুইলার ফ্যাক্টরি স্থাপন করেছেন তারা। ইতোমধ্যে উৎপাদন শুরু হয়েছে। ভারতীয় ব্র্যান্ড বাজাজের টেকনিক্যাল সহায়তায় এটি হচ্ছে। পরে রানার অটোমাবাইল ইলেকট্রিক ভেহিক্যাল তৈরির দিকে যাবে। এ জন্য প্রক্রিয়াও শেষ হয়েছে। এটুআই-এর সঙ্গে সমঝোতা চুক্তিও স্বাক্ষর হয়েছে। এখন ইলেকট্রিক ভেহিক্যাল তৈরির জন্য সরকারের নীতিমালার জন্য অপেক্ষায় রয়েছে দেশীয় এ প্রতিষ্ঠানটি। হাফিজুর রহমান খান বলেন, আমাদের কাছে প্রায়ই একটা প্রশ্ন আসে। বলা হয়, ২০৪০ সালে বাংলাদেশের পরিবহন ব্যবস্থা কেমন হবে? আমরা উন্নত দেশের কথা বলছি। সেই উন্নতির সঙ্গে সমন্বয় রেখে দেশের যানবাহনেরও উন্নয়ন ঘটাতে হবে। সে লক্ষ্যেই ইলেকট্রনিক্স ভেহিক্যাল তৈরিতে এগিয়ে যাচ্ছে রানার গ্রুপ। হাফিজুর রহমান বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ ধরনের ভেহিক্যাল নির্মাণে প্রণোদনা আছে। বাংলাদেশেও থাকা উচিত। আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশের ব্র্যান্ড হিসেবে রানার অটোমাবাইলের গাড়ি বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা। তবে অন্যান্য দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে প্রাথমিক পর্যায়ে সরকারের রপ্তানি প্রণোদনার প্রয়োজন পড়বে। রানারের চেয়ারম্যান বলেন, সারা বিশ্বে ৩ লাখ কোটি ডলারের অটোমাবাইল শিল্পের বাজার রয়েছে। আরও ৫০ হাজার কোটি ডলারের যন্ত্রাংশের বাজার রয়েছে। এটি তৈরি পোশাক শিল্পের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। সরকার তৈরি পোশাক শিল্পে যে ধরনের সহায়তা দিচ্ছে, অটোমোবাইল শিল্প সে ধরনের প্রণোদনা পেলে এটি বাংলাদেশের আরও একটি সম্ভাবনাময় শিল্পে পরিণত হবে।

তখন অটোমাবাইল শিল্পে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ ব্র্যান্ড হিসেবে দেশের বাইরেও স্বীকৃতি অর্জন করবে রানার গ্রুপ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর