বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সীমা ঘোষণার পর সারা দেশে নির্বাচনি আমেজ তৈরি হয়েছে। সমগ্র জাতি একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রহর গুনছেন। তবে যার জন্য হাজারো ছাত্র-জনতা জীবন দিল সেই কাক্সিক্ষত সংস্কার এবং গণহত্যার বিচার না করে যেনতেন নির্বাচনের মাধ্যমে কোনো দলকে ক্ষমতায় বসানো হলে জনগণ সেটা মেনে নেবে না। নির্বাচনের আগে অবশ্যই সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে। জনগণ যেন বিনা বাধায় ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নিরাপদে ফিরে আসতে পারেন সেই পরিবেশ তৈরি করতে হবে। গতকাল দুপুরে বগুড়া শহরের শাহওয়ালিউল্লাহ মিলনায়তনে জামায়াতে ইসলামী বগুড়া অঞ্চলের কর্মপরিষদ সদস্যদের দিনব্যাপী শিক্ষা শিবিরে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। রফিকুল ইসলাম খান আরও বলেন, জামায়াতে ইসলামী একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে আসন্ন নির্বাচনে ভোটের লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত। ইতোমধ্যে সারা দেশে আসন ভিত্তিক প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। সংগঠনের সব নেতা-কর্মীকে মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে সর্বশক্তি নিয়ে ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর আওয়ামী লীগ দেশ ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল। মানুষের কোনো অধিকার ছিল না। ছাত্র-জনতার প্রতিরোধের মুখে ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। হাসিনার পলায়নের মধ্য দিয়েই মূলত দেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ হয়ে গেছে। বর্তমানে দেশের কোথাও আওয়ামী লীগ কিংবা তাদের অঙ্গসংগঠনের তৎপরতা দৃশ্যমান নেই। এই মুহূর্তে বিএনপি এবং জামায়াত দেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল। দেশের মানুষ দুই দলের যে কোনো একটা দলকে আগামীতে ক্ষমতায় দেখতে চায়। জামায়াতে ইসলামী জনগণের ভোটে বিজয়ী হয়ে দেশের জন্য কাজ করতে চায়। এ লক্ষ্যে আমাদের নেতা-কর্মীরা সারা দেশে জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। শিক্ষা শিবিরে আরও বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামী বগুড়া অঞ্চলের টিম সদস্য অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, টিম সদস্য অধ্যাপক আবদুর রহীম, পাবনা জেলা আমির অধ্যাপক তালেবুর রহমান, জয়পুরহাট জেলা আমির ডা. ফজলুর রহমান সাইদ, বগুড়া জেলা আমির অধ্যক্ষ মাওলানা আবদুল হক সরকার, বগুড়া শহর শাখার আমির অধ্যক্ষ আবিদুর রহমান সোহেল ও সিরাজগঞ্জ জেলা আমির মাওলানা শাহিনুর আলম।