মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

শিক্ষার্থীদের হাতে লাঞ্ছিত শিক্ষক

চট্টগ্রামে একের পর এক ঘটনা অসন্তোষ সুধী মহলের

ইমরান এমি, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের কলেজগুলোতে একের পর এক শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার ঘটনা ঘটছে। কখনো ক্লাস চলাকালীন দলবল নিয়ে ক্লাসে ঢুকছেন ছাত্রনেতারা আবার কখনো পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করতে না দেওয়ায় শিক্ষককে পিটিয়ে ট্রান্সফারের হুমকি দেওয়ার অভিযোগও উঠছে। নিজেদের শিক্ষার্থীদের হাতে লাঞ্ছনা আর হুমকির শিকার অপমান অপদস্থতা মেনে নিতে পারছেন না শিক্ষকরা। আবার অনেক শিক্ষক লোকলজ্জার ভয়ে অনেক ঘটনা আনেন না জনসম্মুখেও।

সচেতন নাগরিক কমিটি-সনাক চট্টগ্রামের সভাপতি অ্যাডভোকেট আখতার কবির বলেন, যে সময় যে সরকারই ক্ষমতায় থাকে তাদের ছাত্রসংগঠনগুলো এ ধরনের বেপরোয়া হয়ে যায়। অনেক সময় তাদের দলও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। এতে করে শিক্ষকদের প্রতি তাদের যে আচরণ তাতে তাদের ছাত্র সংগঠনের যেমন ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে, তেমনিভাবে শিক্ষার্থীদের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। যা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য মোটেও ভালো না।

চট্টগ্রাম মহিলা কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ আনোয়ারা আলম বলেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক ছিল তা এখন আর নাই। এর জন্য যেমন রাজনৈতিক নেতারা দায়ী তেমনি শিক্ষকরাও দায়ী। শিক্ষকরা যে ছাত্রদের শাসন করবে তা কোনোভাবে তারা মেনে নিতে পারছে না। এতে করে শিক্ষকদের ছাত্রদের সঙ্গে কৌশলী আচরণ করতে হবে। চলতি মাসের ৭ ফেব্রুয়ারি নগরীর ওমরগণি এমইএস কলেজের একাদশ শ্রেণির ক্লাস চলাকালীন সময়ে বক্তব্য দিতে না দেওয়ায় অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক ববি বড়ুয়াকে ক্লাসে ঢুকে লাঞ্ছিত করে বহিরাগত শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। যার নেতৃত্বে ছিলেন ডাবলমুরিং থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিব হায়দার। সে সময় অধ্যক্ষ আ ন ম সরওয়ার আলমের কক্ষে নিয়ে মাফ চেয়ে পার পেয়ে যান অভিযুক্তরা। এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ১২ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম সরকারি হাজী মহসিন কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মুজাহিদুল ইসলামকে পিটিয়ে ট্রান্সফার করার হুমকি দেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাজী নাঈম। পরবর্তী সময়ে কলেজ অধ্যক্ষ কামরুল ইসলাম অভিযুক্ত কাজী নাঈমনসহ তার অনুসারীদের নিজের কক্ষে ডেকে আনেন। পরে তারা শিক্ষক মুজাহিদুল ইসলামের কাছে মৌখিক ক্ষমা চেয়ে পার পেয়ে যান।

মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাজী নাঈম বলেন, আসলে ওই শিক্ষক পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে কয়েকজনকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বের করে দেন। যার কারণে তারা আমার কাছে অভিযোগ নিয়ে এলে আমি প্রিন্সিপাল স্যারের কাছে যেতে বলি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর