বাংলাদেশের প্রায় ৫ কোটি মানুষের থাইরয়েড সমস্যা রয়েছে বলে জানিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন অব ক্লিনিক্যাল এন্ড্রোক্রাইনোলজি অ্যান্ড ডায়াবেটোলজিস্ট অব বাংলাদেশ। এসব রোগীর অর্ধেকের বেশি জানে না যে তারা এ সমস্যায় ভুগছেন। এ ছাড়া পুরুষের তুলনায় নারী চার থেকে পাঁচ গুণ বেশি আক্রান্ত। গতকাল রাজধানীর মোতালেব টাওয়ারে এসিইডিবির অফিসে বিশ্ব থাইরয়েড দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. ফরিদ উদ্দিন। সঞ্চালনা করেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. এম এ হালিম খান। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন ডা. এ কে এম আমিনূল ইসলাম। অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন বলেন, সুস্থ মা, সন্তান এবং জাতি গড়তে থাইরয়েড বিষয়ে গণসচেতনতা তৈরি করতে হবে। প্রতিনিয়ত থাইরয়েডে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে তবে সে অনুযায়ী চিকিৎসক বাড়ছে না। বাংলাদেশে সরকারি পুরনো আটটি মেডিকেল কলেজে এ চিকিৎসা দেওয়া হয়। নতুন আরও ছয়টি মেডিকেল কলেজে এন্ড্রোক্রাইনোলজি বিভাগ খোলার মাধ্যমে হরমোনজনিত রোগের চিকিৎসায় জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বর্তমানে সরকারি পর্যায়ে প্রায় ১০০ হরমোন বিশেষজ্ঞ কাজ করে যাচ্ছেন। বেসরকারি পর্যায়ে ২০০ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক কাজ করছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা. ইন্দ্রজিৎ প্রসাদ বলেন, বন্ধ্যত্বের অন্যতম কারণ থাইরয়েড সমস্যা।
তাই গর্ভধারণে সমস্যা হলে গাইনি বিশেষজ্ঞের পরামর্শের পাশাপাশি থাইরয়েডের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। নয়তো নবজাতকের মানসিক ও শারীরিক বৃদ্ধিতে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। এ অবস্থা উত্তরণে গর্ভবতী অবস্থায় ও প্রসবের আগে থাইরয়েড পরীক্ষা জরুরি। বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. রুহুল আমিন বলেন, অধিকাংশ সময় এ রোগীরা ভুল চিকিৎসার শিকার হন। তবে এ রোগে মৃত্যু কম হওয়ার কারণে এ বিষয়ে গুরুত্ব কম দেয় মানুষ।
