মঙ্গলবার, ৩০ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

রংপুরে খামারি ও গৃহস্থরা ১৩ লাখ কোরবানির পশু প্রস্তুত করেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

রংপুরে খামারি ও গৃহস্থরা প্রায় সাড়ে ১৩ লাখ কোরবানির উপযুক্ত গরু-ছাগল প্রস্তুত করেছেন। ভারত থেকে গরু না এলে এবার এ বিভাগের খামারি ও গৃহস্থরা লাভবান হবেন। ভালো দামের আশায় খামারিরা কোরবানির বাজার ধরার জন্য এসব পশু যত্নসহকারে লালনপালন করছেন। রংপুর প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, কোরবানির পশু বিক্রির উদ্দেশ্যে এ বিভাগের আট জেলায় দেড় লাখের বেশি খামারি প্রায় ৫ লাখের বেশি গরু বাণিজ্যিকভাবে বিক্রির জন্য প্রস্তুত  করেছেন। এ ছাড়া ২ লাখের ওপর গৃহস্থ প্রায় সাড়ে ৯ লাখ গরু-খাসি বাজারে বিক্রি করার জন্য তৈরি করেছেন। এর মধ্যে রংপুর জেলায় সবচেয়ে বেশি প্রায় ৩৩ হাজার খামারে ২ লাখের ওপর গরু রয়েছে। গত বছর কোরবানি ঈদ উপলক্ষে ১৩ লাখ গরু-খাসি প্রস্তুত করা হয়েছিল, যাতে চাহিদা মিটিয়ে আড়াই লাখের বেশি পশু উদ্বৃত্ত ছিল। এবার ১৩ লাখ ৬৫ হাজার গরু-খাসি কোরবানির উপযুক্ত রয়েছে। যা এই অঞ্চলের চাহিদা মিটিয়েও প্রায় ৩ লাখের মতো গরু-খাসি উদ্বৃত্ত থাকবে। প্রাণিসম্পদ বিভাগের তথ্য মতে রংপুর বিভাগের আট জেলায় গত বছর পশু কোরবানি হয়েছে ১০ লাখের কিছু ওপরে। এ বছর এই বিভাগে কোরবানির উপযুক্ত গরু-খসি প্রস্তুত রয়েছে প্রায় ১৩ লাখ ৭০ হাজার। এর মধ্যে ছাগল ও ভেড়া রয়েছে আড়াই লাখের ওপর। চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ৩ লাখের মতো গরু-খাসি উদ্বৃত্ত থাকবে। এসব পশু এ বিভাগের চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যান্য স্থানে সরবরাহ করা হবে। কোরবানিতে দেশি ও শঙ্কর জাতের গরুর চাহিদা বেশি থাকায় খামারিরা এ ধরনের গরু স্বাস্থ্য সম্মতভাবে মোটাতাজাকরণ শুরু করেছেন কয়েক মাস আগে থেকে। রংপুর ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রতিফুর রহমান মিলন জানান, খামারিরা কোরবানি উপলক্ষে গরু প্রস্তুত করেছেন কোরবানি হাটে বিক্রি করার জন্য। ভারতীয় গরু প্রবেশ না করলে তারা এবার ভালো দাম পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।

রংপুর প্রাণিসম্পদ বিভাগীয় অফিসের উপপরিচালক ড. মো. আবদুল হাই জানান, গত বছরের চেয়ে এবার বেশি কোরবানির পশু গরু-খাসি রয়েছে। তা এ অঞ্চলের চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যান্য স্থানে পাঠাতে পারবে খামারি ও গৃস্থরা।

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর