সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর পক্ষে প্রচারণা চালাতে যুক্তরাজ্য থেকে সিলেটে এসেছেন ২ শতাধিক নেতা-কর্মী। যুক্তরাজ্য থেকে সিলেটে এসে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। নির্বাচন কমিশনের বিধিনিষেধ মেনে গতকাল প্রচারণায় নামেননি জাতীয় পার্টির প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল। তবে দিনভর প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান। গতকাল সকালে যুক্তরাজ্য যুবলীগের সভাপতি ফখরুল ইসলাম মধু ও সাধারণ সম্পাদক সেলিম আহমদ খানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল দেশে আসেন। ওসমানী বিমানবন্দরে তাদের স্বাগত জানান সিলেট জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
মো. শামীম আহমদ প্রমুখ।
, মহানগরের সভাপতি আলম খান মুক্তি ও সাধারণ সম্পাদক মুশফিক জায়গীরদারসহ বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী। গত দুই সপ্তাহ ধরে যুক্তরাজ্য থেকে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা সিলেটে আসা শুরু করেন। তারা সিলেটে এসে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় সেখানকার নেতা-কর্মীরা দেশে এসে তার প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন।
এদিকে, গতকাল কর আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। কর আইনজীবী সমিতির মেন্দিবাগের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘২১ জুন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যদি বিজয়ী হতে পারি তা হলে সিলেটকে তিলোত্তমা নগরী হিসেবে গড়ে তুলব। তিলোত্তমা সিলেট নগরীর অংশীদার হবেন সব নগরবাসী, কেউ বঞ্চনার শিকার হবেন না।’ তিনি বলেন, ‘সিলেট নগরীর ভাঙা রাস্তা, জলাবদ্ধতা ও মশার উপদ্রব চরম আকার ধারণ করেছে। আমি নির্বাচিত হলে এসব সমস্যার সমাধান হবে। নির্বাচিত হতে পারলে মাস্টারপ্ল্যান করে সিলেটকে নতুনভাবে গড়ব।’
অন্যদিকে, গতকাল নগরীতে দিনভর প্রচারণা চালিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান। সকাল ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত তিনি নগরীর বিভিন্ন স্থানে আলেম-ওলামাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। বিকাল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত নগরীর ২৫ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেন। রাত ৯টায় তেররতন এলাকায় মহিলা তালিমে অংশ নেন তিনি।
আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান দিনভর প্রচারণা চালালেও বিরত ছিলেন জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম বাবুল। প্রতীক বরাদ্দের আগে প্রচারণা চালানোর কারণে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও নজরুল ইসলাম বাবুলকে শোকজ করেছিল নির্বাচন কমিশন। এরপর থেকে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী প্রচারণা চালিয়ে গেলেও বাবুল রয়েছেন বিরত। আজ (শুক্রবার) প্রতীক পাওয়ার পর প্রচারণায় নামার কথা জানিয়েছেন বাবুল।