গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের মানুষ নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের জন্য লড়াই করেছে এবং এখনো করছে। দেশকে যারা আবার পুরনো ফ্যাসিস্ট কাঠামোয় ফেরত নিতে চায় তাদের বিষদাঁত ভেঙে দিতে হবে। জনগণের আকাক্সক্ষা পূরণে গড়ে তুলতে হবে নতুন রাজনৈতিক শক্তি। গতকাল মোহাম্মদপুরের বেঙ্গলি মিডিয়াম হাইস্কুলে ’২৪-এর গণ অভ্যুত্থানে মোহাম্মদপুর-আদাবর অঞ্চলে আহত-নিখোঁজ ও শহীদদের তালিকা প্রকাশ ও স্মরণসভা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
মোহাম্মদপুর থানার সংগঠক ফাইয়াজ ফিরোজের সভাপতিত্বে ও গণসংহতি আন্দোলনের সংগঠক হাসান আল মেহেদীর সঞ্চালনা করেন। স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন শহীদ ও আহত পরিবারের সদস্যরা।
২৩ আগস্ট থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গণসংহতি আন্দোলনের ক্যাম্প থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থানে মোহাম্মদপুর-আদাবর অঞ্চলে ২২ জন নিহত, ২২৭ জন আহত ও দুজন নিখোঁজ হয়েছেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জোনায়েদ সাকি বলেন, যে মানুষ সব মানুষের প্রয়োজনে, জনগণের প্রয়োজনে, রাষ্ট্রের প্রয়োজনে জীবন দিতে কুণ্ঠাবোধ করেননি তারা এই জাতির জন্য প্রজন্ম থেকে প্রজন্মতরে অনুকরণীয় হয়ে থাকবেন। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম দায় তাদের জাতীয় বীরের মর্যাদা দেওয়া। আর প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের যথাযথ বিচার করা।
গার্মেন্ট শ্রমিকদের আন্দোলন প্রসঙ্গে জোনায়েদ সাকি বলেন, শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরির দাবি সঠিক। শেখ হাসিনার আমল থেকে শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরির জন্য লড়াই করেছেন; জীবন দিয়েছেন। তাই অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে শ্রমিকের ন্যায্য মজুরির দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানাই।
তিনি আরও বলেন, সাভার-আশুলিয়া অঞ্চলে শ্রমিকরা জীবন বাজি রেখে ফ্যাসিস্টদের প্রতিরোধ করেছেন। পতিত ফ্যাসিস্টরা যাতে কোনো ষড়যন্ত্র করতে না পারে সে ব্যাপারেও শ্রমিকদের সচেতন থাকতে হবে।
শহীদ পরিবারের সদস্যরা বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের পরিবারকে অতিদ্রুত পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিতে হবে। আহতদের চিকিৎসায় হাসপাতালগুলো যথাযথ ব্যবস্থা না নিয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে। আমরা সরকারকে দ্রুত আহতদের চিকিৎসায় মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি এবং সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করার দাবি জানাচ্ছি।