অন্তর্বর্তী সরকারের এক মাসের কর্মযজ্ঞ পর্যালোচনা করে তেমন আশানুরূপ কিছু দেখছে না বলে জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের মুখপাত্র সামান্তা শারমিন। তিনি বলেন, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে বিভিন্ন জায়গায় মব জাস্টিসের ঘটনা ঘটছে। মন্দিরে, মাজারে, বিভিন্ন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এমনকি ব্যক্তিগত পূর্ব শত্রুতার জের ধরেও আক্রমণের ঘটনা ঘটছে। অনেকদিন ধরেই এসব ঘটনা ঘটলেও সরকারের নিষ্ক্রিয় ভূমিকা আমাদের অবাক করেছে।
তিনি বলেন, পতিত ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার প্রশাসন এবং পুলিশকে দিয়ে ঠিকমতো কাজ করানো কঠিন হবে তা আমরা জানতাম। কিন্তু পুলিশ বাদে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও এসব ঘটনায় নীরব ভূমিকা পালন করছে। বন্যার সময়ও সরকার ও প্রশাসনের ভূমিকা ছিল অপ্রতুল। সামান্তা শারমিন বলেন, মন্দির, মাজার যারা ভাঙছে তাদের বিরুদ্ধে এখনো কেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নিচ্ছে না এই প্রশ্ন আমরা সরকারের কাছে রাখছি।জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কাজ এখনো শুরু না হওয়ায় সরকারকে এখনই কোনো সময় বেঁধে দিতে রাজি নই আমরা। সংস্কার কাজ শুরু হোক, তারপর সময় বেঁধে দেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, গণভোট নাকি গণপরিষদে নতুন সংবিধান হবে তার সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ।
সকল মানুষের আকাক্সক্ষার প্রতিফলন থাকবে নতুন সংবিধানে।
নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের জন্য গঠন করা হয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। নাগরিক কমিটি রাজনৈতিক দল হবে কি না তা সময়ই বলে দেবে। দেশে যাতে জরুরি অবস্থা না আসে, সেজন্য সবারই ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।